আহসান উল্ল্যাহ মাস্টার হত্যা মামলায় আপিল শুনানি ২৬ ফেব্রুয়ারি
গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল শুনানির জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দস কাজল।
গত ১৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতা ও গাজীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল দ্রুত শুনানি করতে আবেদন করা হয়।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সমাবেশে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলার রায় ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল ঘোষণা করেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
রায়ে মামলার আসামি বিএনপিনেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আল আমিন ও রতন ওরফে ছোট রতন নামের দুজন মারা যান। বাকি ২৬ জনের মধ্যে ১৭ জন কারাগারে আটক আছেন, ৯ জন এখনও পলাতক আছেন।
পরে ২০১৬ সালের ১৫ জুন মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সাতজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারা হলেন—মো. আলী, সৈয়দ আহমেদ হোসেন মজনু, আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু, রতন মিয়া ওরফে বড় মিয়া রতন, জাহাঙ্গীর ওরফে ছোট জাহাঙ্গীর (১), আবু সালাম ওরফে সালাম ও মশিউর রহমান ওরফে মনু।
এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর ওরফে বড় জাহাঙ্গীর, ফয়সাল, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির, খোকন, লোকমান ও দুলাল মিয়া।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকা ছয় আসামি হলেন—নুরুল ইসলাম সরকার, নুরুল ইসলাম দীপু, মাহবুবুর রহমান মাহবুব, শহীদুল ইসলাম শিপু, হাফিজ ওরফে কানা হাফিজ ও সোহাগ ওরফে সরু। যাবজ্জীবন বহাল রাখা হয় টিপু ও নুরুল আমিনের। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন মনির, রকিব উদ্দিন সরকার ওরফে পাপ্পু, আইয়ুব আলী ও জাহাঙ্গীর।
মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও শ্রমিকনেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি ১৯৯০ সালে গাজীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ছাড়াও জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।