গোবিন্দগঞ্জে সবজির বাজারে স্বস্তি, চাল-মাছে ঊর্ধ্বগতি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/10/sobji-bazar-2_1.jpg)
বাজারে সরবরাহ বাড়ায় শীতকালীন শাক-সবজির দামে স্বস্তি ফিরেছে। তবে চাল ও মাছের চড়া দামের কারণে সেই স্বস্তি যেন অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। বাজারে নানা জাতের মাছে ভরপুর থাকলেও দাম ক্রেতা সাধারণের নাগালের বাইরে।
গতকাল রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পৌর বাজার, নাকাইহাট, ফাসিতলা বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে বাড়ছে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ। দোকানিরাও শাক-সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন। দাম কম থাকায় বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
গোবিন্দগঞ্জ পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা সবুজ মিয়া বলেন, সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে কোনো কোনো শাক-সবজির দাম। সরবরাহ আরও বাড়লে দাম আরও কমবে বলে জানান তিনি।
বাজার ঘুর দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা কেজি ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটোল ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, গাজর ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ক্ষিরা ৪০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, দেশি পাকা টমেটো ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শিম ২৫ টাকা, শালগম ২০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
প্রতি কেজি ধনেপাতা ৩০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ২০ টাকা, পাতাসহ পেঁয়াজ ৩০, নতুন আলু ৪৫ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ব্রকলি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
বাজারে দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকায়, আর পাইকারিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। এছাড়া, বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পুঁইশাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা।
সবজির দাম কমতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ভোক্তাদের মধ্যে। ফয়সাল নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সবজির দাম অনেকটাই হাতের নাগালে চলে এসেছে। সবসময় বাজার এরকম থাকলেও কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যেত।
মাছের দাম চড়া
সবজির দামে স্বস্তি ফিরলেও বাজারে এখনও মাছের দাম চড়া। সপ্তাহ ব্যবধানে আরও অস্থির ইলিশের বাজার। চালের দামও বাড়তির দিকে।
সচেতন মহল মনে করেন, বাজার মনিটরিং করলে দাম বাড়াতে সাহস পাবে না ব্যবসায়ীরা।