শরীয়তপুরে গণপিটুনিতে আহত আরও একজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩

শরীয়তপুরে একটি বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় গণপিটুনিতে আহত পাঁচ ডাকাতের মধ্যে অজ্ঞাত পরিচয় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গণপিটুনিতে তিন ডাকাত নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে (ওসেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পালং মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত তিনজনের মধ্যে এখন পর্যন্ত একজনের পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির নাম এবাদুল ব্যাপারী (৪৮)। তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কানারগাঁও এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ জানায়, আঙুলের ছাপের (ফিঙ্গার প্রিন্ট) সাহায্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে এবাদুলের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয়, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে ডাকাতরা। পরে তাদের ধাওয়া দেয় স্থানীয়রা। এসময় ডাকাতরা পালিয়ে শরীয়তপুরের তেঁতুলিয়া এলাকায় এলে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে তাদের গতিপথ রোধ করে। এসময় ডাকাতরা হাতবোমা ও এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে গুলিতে আহত হন চারজন। পরে ডাকাতরা স্পিডবোট ফেলে পালানোর সময় সাতজনকে আটক করে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দুই ডাকাত সদস্য সদর হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বাকি পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।