সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বরিশালে লাখো মানুষের ঈদ উপদযাপন

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ রোববার (৩০ মার্চ) বরিশাল বিভাগের ২০ হাজার পরিবারের প্রায় এক লাখ মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।
রোববার সকালে নগরীর সাতটিসহ বিভাগের ৭৩টি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। তারা চট্টগ্রামের চন্দনাইশ এলাহবাদ জাহাগীরিয়া শাহ সুফী দরবার শরীফের অনুসারী।
স্থানীয় সূত্রমতে, রোববার সকাল সাড়ে আটটায় নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁজকাঠী হাজীবাড়ি শাহসুফী জাহাগীরিয়া জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া নগরীর তাজকাঠি, জিয়া সড়ক, টিয়াখালী, হরিনাফুলিয়া এবং সদর উপজেলার সাহেবেরহাট এলাকায় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হরিনাফুলিয়ার চৌধুরী বাড়ি শাহসুফী মমতাজিয়া জামে মসজিদে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার খানপুরা, কেদারপুর, মাধবপাশাসহ ছয়টি গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার, মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় এবং বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন, পতাং, লাহারহাট গ্রামে চন্দনাইশ এলাহবাদ জাহাগীরিয়া শাহ সুফি দরবার শরীফের আড়াই হাজার অনুসারী রয়েছেন। তারা আজ রোববার ঈদ উদযাপন করছেন।
বরিশাল নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হরিনাফুলিয়া চৌধুরীবাড়ি শাহ মমতাজিয়া জামে মসজিদের সভাপতি মমিন উদ্দিন কালু বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ডে আগাম ঈদ পালন করছেন প্রায় এক হাজার পরিবার।’
বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠীর হাজী বাড়ীর জাহাগীরিয়া শাহ সুফী মমতাজিয়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আমীর হোসেন বলেন, ‘এ ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাগরদী, তাজকাঠীসহ আশপাশের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার ঈদ পালন করছে।’
পৃথিবীর কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে সে অনুযায়ী রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করেন চন্দনাইশ এলাহবাদ জাহাগীরিয়া শাহ সুফী দরবার শরীফের অনুসারীরা।