সরকারি অফিসের ছাদে বিয়ের আয়োজন, সমালোচনার ঝড়

পাবনার ঈশ্বরদীতে সরকারি অফিসের ছাদে আলোকসজ্জা ও প্যান্ডেল টাঙিয়ে ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল চত্বর এবং অফিসের ছাদে এই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, ওই কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জিল্লুর রহমানের মেয়ের গায়ে হলুদ ও বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা এই কার্যালয় চত্বরে সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঈদে টানা ৯ দিনের ছুটিতে বন্ধ রয়েছে সব সরকারি অফিস। এ সুযোগে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে জিল্লুর রহমান নামের একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী তার মেয়ের বিয়ের জন্য আলোকসজ্জা করে সেখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের কক্ষের তালা খুলে অফিস কক্ষ ব্যবহার এবং পুরো সরকারি ভবন আলোকসজ্জা করা হয়।
বিয়ের অনুষ্ঠানের কিছু ছবি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা খাতুনের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
সরকারি অফিসে বিয়ের আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই এখানে অনুষ্ঠান করা হয়েছে বলে দাবি করেন জিল্লুর রহমান। এ বিষয়ে এর চেয়ে বেশি কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা খাতুন মুঠোফোনে বলেন, ‘অফিসেরই একজন কর্মচারী বলে তাকে বাহিরের একটি অংশ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি। তবে ভেতরের কোনো কক্ষ ব্যবহারের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’
পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একে এস মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারি অফিস ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। এটি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি। শুধুমাত্র জনস্বার্থে এটি ব্যবহার করতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে জবাবদিহি করতে হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. তারেক হোসেন বলেন, ‘সরকারি অফিসে বিয়ের অনুষ্ঠান করার কোনো সুযোগ বা নিয়ম নেই। আমি এ বিষয়টি জানলাম, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।’