সুনামগঞ্জে হাসপাতালে অভিযান, অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

সুনামগঞ্জের ছাতকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় সিলেটের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদারের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে হাসপাতালের ডাক্তারদের নিয়মিত অনুপস্থিতি, নার্স-ম্যাটস দিয়ে রোগীর প্রেসক্রিপশন করা, অপরিচ্ছন্ন রান্না ঘর এবং ওষুধ ও ভর্তি রেজিস্ট্রার ঠিকমতো মেইনটেইন না করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
তবে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুসরাত আরেফিন দাবি করেছেন, হাসপাতালে রোগী দেখার মতো পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই। সাতজন চিকিৎসকের মধ্যে পাঁচজনের পদ খালি থাকায় বাধ্য হয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বৈধ নার্স-ম্যাটস দিয়ে নির্দিষ্ট চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রান্নাঘর ও রেজিস্ট্রার ঠিকমতো মেইনটেইন করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। তার দাবি, দুদক ভুল বুঝছে।
সিলেট দুদকের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার জানান, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ছাতক উপজেলা হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ডাক্তারদের নিয়মিত অনুপস্থিতি, নার্স-ম্যাটস দিয়ে রোগীর প্রেসক্রিপশন করা, অপরিচ্ছন্ন রান্না ঘর এবং ওষুধ ও ভর্তি রেজিস্ট্রার ঠিকমতো মেইনটেইন না করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
তবে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুসরাত আরেফিন দুদকের অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে দাবি করেন, হাসপাতালে রোগী দেখার মতো ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সাতজন চিকিৎসকের মধ্যে পাঁচজনের পদই খালি। তাই সেবা দিতে গিয়ে বাধ্য হয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বৈধ নার্স-ম্যাটস দিয়ে নির্দিষ্ট চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া রান্নাঘর ও রেজিস্ট্রার ঠিকমতো মেইনটেইন করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।