হিসাব নম্বর পাল্টে উপবৃত্তি লোপাটের অভিযোগ, শিক্ষা কর্মকর্তা বরখাস্ত

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি পাওয়া ৬৭ শিক্ষার্থীর মুঠোফোন অ্যাকাউন্ট নম্বর পরিবর্তনের অভিযোগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। গত ২২ এপ্রিল স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গত রোববার প্রকাশ করা হলেও বিষয়টি আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) জানাজানি হয়।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জুলাই ও ডিসেম্বরে বারহাট্টা উপজেলার হরিয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৭ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর পরিবর্তন করা হয়। বিষয়টি অনুসন্ধানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মেলে। এরপর মহাপরিচালকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে মন্ত্রণালয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রণালয় আমাকে বরখাস্ত করেছে মঙ্গলবার জানতে পেরেছি। এতে আমি জড়িত নই। পাসওয়ার্ড হ্যাক করে অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করা হয়েছিল। এ ঘটনায় আমি মামলাও করেছি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকেও বিষয়টি জানিয়েছিলাম। আমি নির্দোষ।
নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল আজম আজ বুধবার সকালে মুঠোফোনে বলেন, ‘বারহাট্টার হরিয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি পাওয়া ৬৭ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মুঠোফোন অ্যাকাউন্ট নম্বর পরিবর্তন করা হয়। এ ঘটনায় মন্ত্রণালয় ওই উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কাগজপত্র পেয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়। তিনি আজ থেকে কার্যালয়ে আসবেন না।’