ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অগ্রগতি : ডা. ইরান

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, লন্ডনে গণমানুষের প্রত্যাশিত একটি ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় ঐক্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মাইলফলক।
আজ শুক্রবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ লেবার পার্টির দপ্তর সম্পাদক মো. মিরাজ খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ডা. ইরান এ কথা বলেন।
ডা. ইরান বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে দেশের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষ যে আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, এই বৈঠক সেই ঐক্যের প্রতিফলন। আমরা আশা করি, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত হবে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে রাজনৈতিক নেতৃত্ব সাহসিকতা ও দূরদর্শিতা দেখাবে।
ডা. ইরান আরও বলেন, নির্বাচন যদি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হয়—তাহলে তার আগে সর্বজনগ্রাহ্য রাজনৈতিক সংস্কার ও বিচারিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের আগে লেবার পার্টি স্পষ্টভাবে পাঁচ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল, যার মধ্যে রয়েছে–এক. ফ্যাসিবাদী রাজনীতির অবসান ও জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। দুই. দলীয় প্রশাসন ও দলনির্ভর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কার। তিন. রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও বন্দিদের মুক্তি। চার. নির্বাচনি ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা। পাঁচ. তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পূর্ণ স্বাধীনতা ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নিশ্চয়তা।
ড. ইরান বলেন, বাংলাদেশ লেবার পার্টি যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল হিসেবে সবসময়ই গঠনমূলক রাজনৈতিক সংলাপের পক্ষে। তবে আমরা মনে করি, এই আলোচনা যেন কোনোভাবে বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে আশ্রয় না দেয় কিংবা গণআন্দোলনের চেতনা থেকে বিচ্যুত না হয়—তা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের রাজনৈতিক সদিচ্ছাকে সম্মান জানাই। তবে এই আলোচনা যেন গণআন্দোলনের ‘জুলাই চেতনা’ ও ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। দেশের অভ্যন্তরে আন্দোলনরত লাখো তরুণ, নারী, শ্রমিক, ছাত্র ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর আশা-আকাঙ্ক্ষা যেন এই সংলাপে প্রতিফলিত হয়—সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।