বিএসএফের গুলিতে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ

পঞ্চগড় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। গতকাল শনিবার (১৪ জুন) দিনগত রাতে জেলার সদর উপজেলার হারিভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি তাদের। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির দাবি, বিএসএফের গুলিতে নয়, তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।
নিহত যুবকের নাম রাজু (৩০)। তার বাড়ি হাড়িভাষা ইউনিয়নের ঝুলিপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। আজ রোববার (১৫ জুন) দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা দাবি করেন, গভীর রাতে রাজু ভারত সীমান্তের অভ্যন্তরে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাসায় এলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। রাজুর মৃত্যুর ঘটনায় শত শত মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করেছে।
হাড়িভাষা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাঈয়েদ নুরে আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে রাজুর বাড়িতে এসে দেখি, তার দুই পায়ে গুলি লেগেছে। সীমান্ত এলাকায় সাধারণত বিএসএফের গুলিতেই এ রকম ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে বাঁচাতে পারেনি পরিবারের লোকজন। ঘাগড়া ঝুলিপাড়া ও সাধুপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এর আগেও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।’ সেখানে কাঁটাতারের বেড়া না থাকা এবং বিজিবির দুর্বলতাকে এ মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন তিনি।
পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী বলেন, ‘রাজুর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ময়নাতদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতেই পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক শেখ বদরুদ্দোজা বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে নয়, রাজু হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। তার পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়েছি। তারপরও বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।’