পার্বতীপুর দেশি টেংরা মাছ চাষে সফল উদ্যোক্তা মনির

দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের যুবক মো. মনির হোসেন (৩০) আধুনিক প্রযুক্তিতে দেশি টেংরা মাছ চাষ করে নিজের ভাগ্য বদলাচ্ছেন। তার পোনা উৎপাদনের সাফল্যে জেলার অনেক মৎস্য চাষিই এখন টেংরা চাষে বিনিয়োগ করছেন।
মনির হোসেন ৫০ শতক জমির পুকুরে টেংরা মাছের পোনা উৎপাদন শুরু করেন। আধুনিক প্রযুক্তিতে ছয় মাসের মধ্যে বিক্রি থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা লাভ করেছেন। চলতি বছরে তিনি আরও ২ একর পুকুর লিজ নিয়ে চাষ সম্প্রসারণ করেছেন। তার খামারে ৪ জন স্থায়ী ও ৭ জন অস্থায়ী কর্মী নিয়োজিত আছেন।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা মনির হোসেনকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে। বাজারে তার উৎপাদিত টেংরা মাছ সুস্বাদু, পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং কাঁটা কম থাকায় চাহিদা বেশি। আশপাশ ও দূরদূরান্ত থেকে মৎস্য খামারিরা তার কাছ থেকে পোনা ক্রয় করে চাষ করছেন।
দিনাজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা পূরবী রাণী রায় বলেন, উদ্যোক্তা মনির হোসেন আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। তিনি টেংরা মাছ চাষের মাধ্যমে শুধু নিজেকে স্বাবলম্বী করেননি, বরং নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করেছেন। এমন উদ্যোগ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা মেটাতে সহায়তা করছে এবং দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যথাযথ পরিচর্যা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে টেংরা মাছের চাহিদা জাতীয় পর্যায়ে পূরণ করা সম্ভব। দেশি টেংরা মাছ চাষে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও কারিগরি সহায়তা দিয়ে আসছে, যা উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করছে। এ ধরনের উদ্যোগে যুবকদের বেকারত্ব দূর হয়ে দেশের মৎস্য উৎপাদন ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব।
পূরবী রাণী রায় আরও বলেন, মনির হোসেনের উদ্যোগে দিনাজপুরে দেশি টেংরা মাছ চাষ এখন আদর্শ খামার হিসেবে পরিচিত। তার সাফল্য অনেকে অনুসরণ করছে, আর এটি স্থানীয় মৎস্য শিল্প ও জনসাধারণের পুষ্টির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।