টাঙ্গাইলে পাটের বাম্পার ফলন

মৌসুমের শুরুতেই টাঙ্গাইলের বাজারে সোনালি আঁশ ও রুপালি কাঠি বিক্রি করে খুশি কৃষকরা। রোগবালাই কম ও আশানুরূপ ফলনে জেলার পাটচাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলার ১২ উপজেলার খাল-বিল ও জলাশয়ে চলছে পাট জাগ, আঁশ ছাড়ানো ও শুকানোর মহাযজ্ঞ।
কৃষকরা জানিয়েছেন, এ বছর বিঘা প্রতি ১০-১২ মণ পাট উৎপাদন হয়েছে। খরচ বাদে প্রতি বিঘায় গড়ে ১৪-১৫ হাজার টাকা লাভ মিলছে। এছাড়া পাটখড়ির আঁটি বিক্রি করেও আয় হচ্ছে। তবে তারা বলছেন, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সরকারের কঠোর নজরদারি জরুরি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে ১৮ হাজার ৩৬১ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৩০০ বেল। সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে ভূঞাপুরে এবং সবচেয়ে কম ধনবাড়ীতে।
দেলদুয়ার উপজেলার চাষি হুমায়ুন কবির লিটন বলেন, ৬ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। আশা করছি ৫০ মণ পাট পাবো। এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আশেক পারভেজ জানান, জেলায় চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন পাট চাষিরা। এ বছর টাঙ্গাইলের চাষিরা রবি-১, কেনাফ ও তোষা জাতের পাট বেশি আবাদ করেছে। দেশীয় পাটের মধ্যে রবি-১ জাতটি সবচেয়ে ভালো। এই জাতটি এবার প্রণোদনার মাধ্যমে ২ হাজার ৪০০ জন কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। পাটের বাজার মূল্য বেশি থাকায় পাট চাষে কৃষকদের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।
কৃষিবিদ আশেক পারভেজ আরও বলেন, আমরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পাট চাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তা, প্রণোদনা, বিনা মূল্যে বীজ বিতরণসহ জেলায় পাটের আবাদ বৃদ্ধিতে সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছি।