মাদারীপুরে শেষ হলো ৫ দিনের উচ্চতর নৃত্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা

মাদারীপুরে শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে শেষ হলো ৫ দিনে উচ্চতর নৃত্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা। এতে অংশ নেয় মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলার ৬ থেকে ৬০ বছর বয়সী নৃত্যশিল্পী।
সম্প্রতি মাদারীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে লালনগীতি, রবীন্দ্রসংগীত, লোকগীতি, ক্লাসিক ও রোমান্টিক সংগীতের সঙ্গে পরিবেশিত হয় নানান রকমের নৃত্য। শিল্পীদের পারফরম্যান্সে মঞ্চ হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত, আর গ্যালারিজুড়ে ভিড় জমায় শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সের দর্শক।
অনুষ্ঠানে মাদারীপুরের কৃতি সন্তান সাংস্কৃতিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং সিনিয়র ম্যানেজার (অনুষ্ঠান বিভাগ) জনাব জাহাঙ্গীর চৌধুরীকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়, তাকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানান স্বাপ্নিক নৃত্য বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আজিজুল ইসলাম স্বপন মাহমুদ এবং সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন সংগঠনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম রুবেল। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ, বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনের সাংবাদিক বৃন্দসহ সাধারণ দর্শকরা।

এতে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী,কোরিওগ্রাফার ও নৃত্য পরিচালক জনাব এম.আর. ওয়াসেক ও সহকারী প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন সজীব আকন্দ। কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী নৃত্যশিল্পীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করার পাশাপাশি ছিল নৃত্যানুষ্ঠান।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে সংগঠনটি ছোট পরিসরে যাত্রা শুরু করে ২০১৯ সালে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে যাত্রা শুরু করে এবং সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।
মাদারীপুর জেলার নৃত্য শিল্পকে এগিয়ে নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে স্বাপ্নিক নৃত্য বিকাশ। স্বাপ্নিক কিছু সমাজ সচেতনতামূলক নাচের কোরিওগ্রাফি করেও ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। যেমন- নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, অপ্রাপ্ত মাতৃত্ব, মাদক বিরোধী নাচ, এসিড বিরোধী নাচ করে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে। এ ছাড়াও অবহেলিত জনগোষ্ঠীদের নিয়ে কিছু কাজ করেছে।
মাদারীপুরের আঞ্চলিক লোক সংস্কৃতি, আঞ্চলিক বিয়ের গীত ও নৃত্য নিয়েও কাজ করছে সংগঠনটি। এ ছাড়াও ভারতের উড়িষ্যায় অনুষ্ঠিত ‘আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসব ২০২৪’-এ স্বাপ্নিকের চারজন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। এই পর্যন্ত ২০ জনের বেশি নৃত্যশিল্পী জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে শিশু এবং সিনিয়র শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেছেন।