বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে রৌমারীতে র্যালি, আলোচনা

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১১টায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার ও ফ্রেন্ডশিপের সহযোগিতায় এবং রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাস্তবায়নে সকালে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে অংশ নেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, সেবিকা, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস ছামাদ।
বক্তারা মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত। প্রথম ছয় মাস শিশুকে কোনো খাবার বা পানি না দিয়ে কেবল মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানো প্রয়োজন। মাতৃদুগ্ধ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, অপুষ্টি দূর করে এবং মেধাবী জাতি গঠনে সহায়তা করে।
বক্তারা আরও বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনও অনেক মা তাদের সন্তানকে প্রথম ছয় মাস কেবল মাতৃদুগ্ধ খাওয়ান না। ফলে শিশুর মধ্যে নানা রোগবালাই ও অপুষ্টির সমস্যা দেখা দেয়। এ বিষয়ে সকলকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফ্রেন্ডশিপ প্রকল্প কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাবিল খান, কমিউনিটি মোবিলাইজার আনোয়ার ইসলাম, রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ আবু তাহের, স্বাস্থ্য পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন, স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মজিদা খাতুন, আনিচা পারভীন, মোতাহের হোসেন এসিএফসহ উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, ফিল্ড সুপারভাইজার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস ছামাদ বলেন, একটি শিশুর প্রথম খাদ্য হওয়া উচিত মাতৃদুগ্ধ। এটি শুধু শিশুর জন্য নয়, মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যও সমানভাবে প্রয়োজনীয়। তাই মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়টি পরিবার ও সমাজকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।