সাবেক মন্ত্রী রাজ্জাক ও তার পরিবারের ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ

সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগনেতা ড. আব্দুর রাজ্জাক ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদের প্রামাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আব্দুর রাজ্জাক, তার স্ত্রী ও পুত্রের জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদের পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।
আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির উপপরিচালক (গণসংযোগ) আখতার ইসলাম।
আখতার ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা। তার ৩ কোটি ৯০ লাখ ৯২ হাজার টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। একই সময়ে তিনি ২ কোটি ৮১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় করেছেন। ব্যয়সহ তার মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ৭২ লাখ ৩৭ হাজার। উক্ত সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৪ লাখ ৭৭ লাখ ৬৪ হাজার ৯১৬ টাকার।
দুদকের এই পরিচালক বলেন, আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী শিরিন আক্তার বানুর জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদের পরিমাণ ৯০ লাখ ৭১ হাজার ৮৯০ টাকা। তার ২ কোটি ৭৭ লাখ ৩০ হাজার ৫১১ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। একই সময়ে তিনি ৫১ লাখ ২৬ হাজার ৯৯১ টাকার পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় করেছেন। ব্যয়সহ তার মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫৭ হাজার। উক্ত সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ২ কোটি ৩৭ লাখ ৮৫ হাজার ৬১২ টাকার।
এ ছাড়া আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ১ কোটি ২১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮২ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। একই সময়ে তিনি ৩ লাখ ১১ হাজার ১০১ টাকার পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় করেছেন। ব্যয়সহ তার মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ২৪ লাখ ৮১ হাজার ৮৩ টাকার। উক্ত সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৩ টাকার। এক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ৫১ লাখ ১২ হাজার ১০০ টাকা।