ফেনীতে ধর্ষণের পর শিশু হত্যার অভিযোগে যুবক আটক

ফেনীতে শোভা আক্তার (৬) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাসেল (১৮) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা গ্রামের মেসার্স সোনালী ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের একটি পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শোভা আক্তার ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার পারবাবিতা গ্রামের সোলেমান আলীর মেয়ে। পরিবার নিয়ে শোভা ফেনীর পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মিন্টু মিয়ার কলোনিতে বসবাস করছিল। তার মা ওই ব্রিক ফিল্ডে শ্রমিকদের জন্য খাবার রান্না করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর থেকে শোভা নিখোঁজ ছিল। সন্ধ্যা পর্যন্ত না পেয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী মাইকিং করে। পরে রাতে ব্রিকসের একটি পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী মানিক বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত খুঁজেও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। পরে মাইকিং করা হয়। রাতে লোকজন মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
স্থানীয় বিএনপিনেতা কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের সময় শরীরে কোনো কাপড় ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নুর নবী জানান, খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে সেপটিক ট্যাংকের পাশে শিশুটির পরনের প্যান্ট পাওয়া যায়। এতে সন্দেহ হলে শ্রমিক রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তার কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
আটক রাসেল ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার কলতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সে প্রায় দুই বছর ধরে ওই ব্রিকফিল্ডে কাজ করছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ভিকটিমের খালার ঘরে রান্নার কাজে যাওয়া-আসার সুবাদে রাসেল শিশুটিকে চিনত। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।