প্রতিবেদন জমার শেষ সময় ২৪ ফেব্রুয়ারি

বস্ত্র খাতের কোম্পানি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেন ও অন্যান্য বিষয়ের ওপর তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে গতকাল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আজ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ১৩ জানুয়ারি বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে অলটেক্সের শেয়ার লেনদেন ও অন্যান্য বিষয়ের ওপর তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে রয়েছেন বিএসইসির উপপরিচালক মোল্লা মিরাজ-উজ সুন্নাহ ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রাকিবুর রহমান।
আর্থিক প্রতিবেদনেঅসংগতি ও শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় অলটেক্সের উদ্যোক্তা-পরিচালকরা সুবিধাভোগী ব্যবসা (ইনসাইডার ট্রেডিং) করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কমিশন। এ জন্য কোম্পানিটির লেনদেনসহ অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে কমিশন সূত্রে জানা যায়।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তঅলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ দীর্ঘদিন ধরেই লোকসানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। তবে গত বছর আকস্মিকভাবে মুনাফায় ফেরে কোম্পানিটি। এর পর শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে।
এদিকে, কোম্পানিটির নিরীক্ষক আর্থিক প্রতিবেদনে বড় ধরনের অসংগতির কথা উল্লেখ করলেও সেক্ষেত্রে সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদন পায় এজিএমে।এতে ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয় কোম্পানিটি।
প্রসঙ্গত, গত ছয় বছরের মধ্যে চার বছরেই অলটেক্সের লোকসানহয়েছে। তবে গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় এ শেয়ারের দরের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।
১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৫২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭৬ লাখ টাকা। মোট শেয়ার পাঁচ কোটি ২৮ লাখ; যার মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালক ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৫২ দশমিক ২৭ শতাংশ।