দেশের বেশিরভাগ শিল্পখাত এখনো সংকটাপন্ন : বিকেএমইএ সভাপতি
দেশের বেশিরভাগ শিল্পখাত এখনো সংকটাপন্ন বলে মন্তব্য করেছেন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) রাতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এনটিভি ও এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘কেমন বাজেট চাই’-শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য বলেন।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘বিগত সময়ে আমরা যেসব বিষয় তুলে ধরেছি, সেগুলোর খুব একটা প্রতিফলন দেখতে পাইনি। তবে এবার আমরা আশাবাদী। কারণ এনবিআরে যিনি দায়িত্বে আছেন, তিনি আমাদের বিষয়গুলো যৌক্তিকভাবে আমলে নেবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। আমরা আশা করি, এবার কিছু নতুন সুবিধা পাওয়া যাবে।’
বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমাদের স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করা হয়েছে। কারণ দেখানো হয়েছে, দেশের স্পিনিং মিলগুলোতে উৎপাদিত সুতা অবিক্রীত থেকে জমে গেছে। আমি আগেও বলেছি, গত বছরের জানুয়ারিতেই এই সংকট শুরু হয়েছিল, যার প্রভাবে স্পিনিং মিলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে।’
বিকেএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘হঠাৎ করে নগদ সহায়তা (ইনসেনটিভ) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমাদের এফবিসিসিআই প্রশাসক তখন বলেছিলেন নগদ সহায়তা থাকবে। আমাদের শিল্পখাতই এখন আইসিইউতে। এ সরকার আসার পর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করা হয়েছে, এটা আমাদের প্রাপ্তি। তবে এখনো দেশের বেশিরভাগ শিল্পখাত সংকটাপন্ন।’
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ‘আমাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করা হচ্ছে, এটা আমাদের প্রাপ্তি। তবে এখনো দেশের বেশিরভাগ শিল্পখাত সংকটাপন্ন।’
শিল্পখাতগুলোকে সত্যিকার অর্থে চাঙ্গা করতে হলে আরও কিছু প্রণোদনা বা ইনসেনটিভ প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর তিন বছর পর্যন্ত ইনসেনটিভ দেওয়া যাবে—এমনটাই বলা হয়েছে। এমনকি ডব্লিউটিওর তথ্যমতে তাই। তাহলে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ করে প্রণোদনা বন্ধ করে দেওয়া হলো কেন, সেটি বোধগম্য নয়। এর ফলে আমরা আরও সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছি।’