পুঁজিবাজার রক্ষায় ৪ পরামর্শ ডিবিএ’র সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদের
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালি বলেছেন, ‘আজ পুঁজিবাজারের জন্য তাত্ত্বিক কথা বলার সময় নেই। আজকে আমাদের কাছে রুল ও রেজুলেশন রয়েছে। এখন আমাদের টিউনিং খুঁজে নিতে হবে। এখানে আমাদের ৪০-৫০ বছরের লোক আছে পুঁজিবাজারের। আমরা পুঁজিবাজারের জন্য প্রায় ৫০ বছর ধরে আছি। কিন্তু আমাদের সঙ্গে কেউ কথা বলেনি।’
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) রাতে রাজধানীর তেজগাঁও স্টুডিওতে এনটিভির ‘কেমন বাজেট চাই’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন আহমেদ রশিদ।
আহমেদ রশিদ লালি বলেন, ‘টাস্কফোর্স ও ফরেন কনসালটেন্ট দিয়ে কিছুই হবে না। বিএসইসি ৯ মাস ধরে একটা পলেসি উন্নয়নের কাজ করেছে ফাইন রিজিউম ছাড়া? আমরা অ্যাকাউন্টিবিলিটি চাই, আমরা স্বচ্ছতা চাই। গত ৯ মাস ধরে আমরা একচেটিয়া ফাইন রিজিউমের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এটা তো কাম্য না। এভাবে তো করা উচিত না।’
‘আমাদের এসইসির মধ্যে অনেক অভিজ্ঞ লোক রয়েছে। কিন্তু তাদের কাছ থেকে সেই জিনিসটা আদায় করা হচ্ছে না। দুর্ভাগ্যক্রমে গত ৯ মাসে মার্কেট নিচের দিচ্ছে যাচ্ছে। এটা হয় নাকি পৃথিবীর কোথাও’, যোগ করেন আহমেদ রশিদ।
এ সময় দেশের পুঁজিবাজার রক্ষায় চারটি পরামর্শ দেন আহমেদ রশিদ লালি। তিনি বলেন, ‘আমি চারটা বিষয় শেয়ার করতে চাই—এক. লিস্ট ও লিস্ট ছাড়া যে ৫ শতাংশ রয়েছে, তা যেন ১০ শতাংশ করা হয়। তাহলে আমরা ভালো কোম্পানি বাজারে আনতে পারবে। দুই. এআইটি যেটা প্রতিটি ট্রেডে কাটা হচ্ছে সেটা এই জগতে সর্বোচ্চ, সব দেশ মিলিয়ে সর্বোচ্চ। শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ কাটা হচ্ছে। আমাদের এখানে আমরা চাই শূন্য দশমিক ২০ যদি হয়, তাহলে এই ইন্ডাস্ট্রিটা বেঁচে যাবে। তিন. ডিসেটিং টেক্স যেটা এক লাখ টাকা এবং সেটার উপরে ১০ শতাংশ ফাইনাল করা এবং চার ও সর্বশেষ ক্যাপিটাল গেইন টেক্স ৫০ লাখ টাকা আছে। আমরা যদি ভালো ইনভেস্টর চাই, তাহলে এই ৫০ লাখের উপরে যে ১৫ শতাংশ টেক্স নির্ধারণ করা হয়েছে, কমিয়ে আনতে হবে। কারণ এই বাজারে ছোট ইনভেস্টররা আছে ঠিক আছে, তবে উচ্চ পর্যায়ের ইনভেস্টরা যারা আছেন তাদের প্রয়োজন।’