শুধু আমরা নই, ঢাবিও তো র্যাঙ্কিংয়ে নেই : জবি উপাচার্য

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেছেন, ‘র্যাঙ্কিং তো বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে হয়। আর র্যাঙ্কিংয়ে শুধু আমরা নই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও তো নেই।’
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং-২০২৩ প্রসঙ্গে আজ বুধবার এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে ফোনালাপে এ কথা বলেন জবি উপাচার্য।
উপাচার্য ইমদাদুল হক বলেন, ‘সামনে একটা দৃষ্টান্তমূলক র্যাঙ্কিংয়ে যেন আসি, সেজন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এসব অনেক সেক্টরের ওপর নির্ভর করে হয়। গবেষণা, প্রকাশনা বিভিন্ন কিছু। গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, গবেষকদের উৎসাহ দিচ্ছি।’
ইমদাদুল হক আরও বলেন, ‘এখন তো জগন্নাথের রসায়ন বিভাগ বাংলাদেশের মধ্যে শীর্ষে। বাকিগুলোও হবে আশা করি। এসব হলেই আস্তে আস্তে হয়ে যাবে।’
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং-২০২৩ প্রকাশ করা হয়। একাডেমিক খ্যাতি, চাকরির বাজারে সুনাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত, শিক্ষকপ্রতি গবেষণা-উদ্ধৃতি, আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাতের ভিত্তিতে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিং করে প্রতিষ্ঠানটি। এ র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বসেরা ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পায়নি বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। তবে, গত বছরের মতো এবারও ৮০১ থেকে এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।
২০১২ সালে কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে ঢাবির অবস্থান ছিল ৬০১-এর মধ্যে। ২০১৪ সালে তা পিছিয়ে ৭০১তম অবস্থানের পরে চলে যায়। ২০১৯ সালের তালিকায় ঢাবির অবস্থান আরও পেছনের দিকে চলে যায়। ২০২১ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৮০১ থেকে এক হাজারের মধ্যে।