জাবিতে ব্যাঙের পানচিনি ‘বিয়ে’

সংস্কৃতির রাজধানী খ্যাত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) বাঙালি জাতির ঐতিহ্য রক্ষা ও সংরক্ষণে ভূমিকা পালন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় পুরাতন বছরের বিদায়কে কেন্দ্র করে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে আয়োজন করা হয় চৈত্র সংক্রান্তি উৎসবের।
উৎসবের পালে নতুন হাওয়া দিতে জাবির পুরাতন কলা ভবনের সামনে শুরু হয় চৈত্র সংক্রান্তি আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ব্যাঙের বিয়ের (ব্যাঙের পানচিনি) আয়োজন। সবার মাঝে বিয়ের আমেজ। এই আয়োজনে কনে পক্ষে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলাভবনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এবং পাত্রপক্ষে ছিল নতুন কলাভবনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মঞ্চের একপাশে সেজেগুজে বসে আছে কনে। বরপক্ষের আগমনের অপেক্ষায় কনেপক্ষ। বিকেল ৫টার দিকে এক র্যালি নিয়ে হাজির বরপক্ষ। বরের মাথায় এক ঢাউস ছাতা। বর নিয়ে নতুন কলাভবনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পুরাতন কলাভবনে পৌঁছালে শুরু হয় দুষ্টুমি-হাসি-তামাশা।

বিয়ে নিয়ে গ্রাম্য সমাজে যে মধুর কথা-কাটাকাটির সৃষ্টি হয় তা যেন অভিনয়ের মাধ্যমে নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেন শিক্ষকরা। মধুর কথা-কাটাকাটির পরও বড় পক্ষ তার স্বভাবত ক্ষমতা বলেই বিবাহ সম্পন্ন করেন। এরপরই অনুষ্ঠিত হয় জলখেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
এ ধরনের আয়োজনকে শিক্ষার্থীরা সাধুবাদ জানিয়েছেন। দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি রক্ষায় প্রশাসনের এই ধরনের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানাই। একই সাথে এ ধরনের আয়োজন প্রতিবছর যাতে করা হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আশরাফুল হাবীব বলেন, প্রতিবছর নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগ এ আয়োজন করলেও এবার সকল বিভাগ এতে সম্পৃক্ত হওয়ায় অনন্য আবহ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এই আয়োজন প্রতিবছর এভাবেই আয়োজন করতে চাই। বাঙালি সংস্কৃতি রক্ষায় সকলেই একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।