নওগাঁর পত্নীতলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আবুল কাশেম দল মনোনীত প্রার্থী মোশারফ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। এতে একদিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হচ্ছে, অপরদিকে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানায়, পঞ্চম ধাপে পত্নীতলায় ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দল থেকে নৌকা চান মোট সাতজন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রস্তাব করে রেজুলেশনসহ ইউনিয়ন কমিটি নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা কমিটির কাছে পাঠায়। একইভাবে উপজেলা কমিটি যাচাই করে জেলা কমিটির কাছে এবং জেলা কমিটি তা কেন্দ্রে পাঠায়।

নৌকা প্রত্যাশীদের মধ্য থেকে সভানেত্রী পত্নীতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মোশারফ হোসেন চৌধুরীকে মনোনয়ন দেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মী ও আওয়ামী লীগের সমর্থকসহ সাধারণ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করে।

এদিকে সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে মোশারফ চৌধুরী ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মনোনয় দেওয়ার কয়েক দিন পর হঠাৎই বিদ্রোহী হয়ে উঠেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। ইতোমধ্যেই তিনি গোপনে ও সরাসরি দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচারণ করছেন। দলীয় প্রার্থী মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে ‘২০১৬ সালের ভোটে বিদ্রোহী প্রার্থীর মিথ্যা’ তথ্য ছড়াচ্ছেন আবুল কাশেম। মনোনয়ন না পাওয়ায় কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।

আবুল কাশেমের দাবি, দল মনোনয়ন দিতে ভুল করেছে। ফলে পুনরায় সিদ্ধান্তের জন্য তিনি আপিল করেছেন।

মোশারফ হোসেন চৌধুরী কীভাবে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন? জানতে চাইলে আবুল কাশেম এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী মোশারফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা পারিবারিক ও ঐতিহ্যগত ভাবেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এলাকার মানুষ ভালোবাসেন, আমার জনপ্রিয়তা আছে। কখনও দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা সভানেত্রী শেখ হাসিনা সার্বিক বিবেচনা করে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে কেউ ফায়দা লুটতে পারবে না। জয় নিশ্চিত।’

এ বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরী বলেন, ‘দলের সভানেত্রী মনোনয়ন দিয়েছেন। বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করলে কেউ ছাড় পাবে না। পত্নীতলায় মোশারফ চৌধুরী মনোনয়ন পেয়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সবাইকে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।’