অপর্ণা ঘোষের মধুচন্দ্রিমা, লাকি ফিলিংস ও অন্যান্য
শীত এলেই জনমুখে একটি চরণ গুনগুন করে ওঠে, ‘শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা’? কবি ভাস্কর চক্রবর্তী দ্বিতীয় চরণেই আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছিলেন, ‘আমি তিন মাস ঘুমিয়ে থাকব।’ কবির সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছিল কি না আর সুপর্ণা শীতসময়ের কথা বলেছিলেন কি না, পাঠকের জানা নেই। তবে আজ পৌষের সপ্তম দুপুরে জেগেছিলেন সদ্য মধুচন্দ্রিমাফেরত অপর্ণা ঘোষ।
মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিট। এমন অলস সময়ে চলভাষে অভিনেত্রী অপর্ণা ঘোষকে পাওয়া গেল। তবে কণ্ঠে ছিল না শীতজড়ানো ঘুমের আভাস। ছিল উচ্ছ্বাস, মধুচন্দ্রিমার রেশ। কথার শুরুতে জানতে চাওয়া, কোথায় আছেন? অপর প্রান্ত থেকে একটি ছোট্ট শব্দ, ‘ঢাকায়’।
তো, কেমন কাটল মধুচন্দ্রিমা? অল্পভাষী অপর্ণার উত্তর, ‘খুব ভালো কেটেছে। ১৪ ডিসেম্বর থেকে আমরা সিলেটে ছিলাম। আমরা দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টে ছিলাম। ওভার অল ভালো সময় কেটেছে আমাদের। সিলেট আমার খুব প্রিয় জায়গা, কক্সবাজারও খুব প্রিয় জায়গা। যদিও কক্সবাজারে আর যাওয়া হয়নি সময়ের অভাবে।’
আগেই জানা গিয়েছিল, স্বামী সাতরাজিৎ দত্ত জাপানে ফিরে যাবেন। সেই যাওয়ার দিন কি ঘনিয়ে এলো? নববধূর হৃদয়ে কি প্রিয়কে চোখের আড়াল করার বেদনা? কিছুই বুঝতে দিলেন না অভিনেত্রী। এক লহমায় অপর্ণা বললেন, ‘করোনা পরীক্ষা করে চলে যাবে, পরশু ফ্লাইট।’
এরই মধ্যে অন্তর্জালে সর্বময় অপর্ণার বিয়ের নানা মুহূর্তের আলোকচিত্র। সবার মুখে প্রশংসা। সেলেবদের নিয়ে তো কত রসিকতা, কত কটাক্ষ। অপর্ণার বিয়ের পর তেমনটা নজরে পড়েনি। তো, কেমন লেগেছে ব্যাপারটা? এনটিভি অনলাইনের এমন প্রশ্নে কণ্ঠে উচ্ছ্বাস দীর্ঘাঙ্গী অপর্ণার। সেই উচ্ছ্বাসের ঢেউ আছড়ে পড়ল এভাবে, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ, (অন্তর্জালবাসী) ভালো বলেছে; সেটাই আমার জন্য প্লাস আসলে, মানুষ যেহেতু ম্যাক্সিমামই নেগেটিভ কমেন্ট করে। আমার কাছে সবচেয়ে পজিটিভ লেগেছে, সেটা হলো, সবাই খুব পজিটিভ বলেছে আমাদের দুজনের ব্যাপারে। কোনো নেগেটিভ কমেন্ট ছিল না। আমি এই দিক থেকে লাকি ফিল করি নিজেকে। হয় না? একটা মানুষ হুট করে নেগেটিভ কমেন্ট করে ফেলল, সেই জিনিসটা করেনি। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
মাত্র ১২ দিন আগে সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুসারে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের লোকনাথ বাবার মন্দিরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ অভিনেত্রী। অনেকেই তাই সেখানে উপস্থিত হতে পারেনি। সে জন্য আগামী বছরের মে-তে হতে পারে অপর্ণার রিসেপশন পার্টি। সেই পরিকল্পনাটা এমন, ‘আমাদের মূল প্রোগ্রামটা তো এখনো বাকি। সেটা হয়তো মে মাসে হবে। জাপানে ওই সময়ে একটা ছুটি চলে। তো, ওই সময়টাকে আমরা টার্গেট করছি। করোনা-পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা প্রোগ্রামটা মে মাসে করব।’
এ তো গেল বিয়ের কথা। এবার কাজের কথায় আসা যাক। ফেরা প্রসঙ্গে অপর্ণার উক্তি, ‘কাজে ফেরার কথা আমার গতকাল থেকেই ছিল। ২৪ ডিসেম্বর থেকে আমার শিডিউল দেওয়া ছিল। কিন্তু ওর (স্বামী) ফ্লাইট পেছানোয় আমার কাজও একটু পেছাল। আমি ২৭ ডিসেম্বর থেকে কাজে ফিরছি। কক্সবাজারে আমার সিঙ্গেল (নাটক) দুইটা কাজ। এরপর এসে সিরিয়ালের কাজ করব।’
শেষ হইয়াও হইল না শেষ। অপর্ণা ঘোষকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলো, প্রকৌশলী বরের সঙ্গ পেতে এরপর থেকে তো মাঝেমধ্যে জাপানের ফ্লাইট ধরতে হবে, না কি? অভিনেত্রীর নিরুত্তাপ উত্তর, ‘আমি কনফার্ম না। ভিসা হলে আর সময় পেলে এক-দুই সপ্তাহের জন্য জাপান ঘুরে আসব হয়তো।’