সৈয়দ হাসান ইমাম
জন্মদিনে মিলনমেলা

সৈয়দ হাসান ইমাম বাংলাদেশের একজন অভিনেতা, আবৃত্তিকার এবং স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব। স্বাধীনতার পর জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে তিনি পালন করেছেন মুখ্য ভূমিকা। বাংলাদেশের সব প্রগতিশীল ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। গত ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমামের জন্মদিনকেন্দ্রিক বর্ণিল এক উৎসবের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ উৎসবের নেপথ্যে ছিলেন দুই শতাধিক বিশিষ্ট নাগরিকের সমন্বয়ে গঠিত ‘শিল্পী সৈয়দ হাসান ইমামের ৮০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন পর্ষদ’।
পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনজুড়ে তখন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিখ্যাত মানুষদের আনাগোণা। তার মধ্যেই এসে পৌঁছালেন যাঁর জন্য প্রতীক্ষা তিনি, সৈয়দ হাসান ইমাম। প্রথমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় নৃত্যের মাধ্যমে, প্রজাপতির মতো উড়তে থাকা শিশু নৃত্যশিল্পীরা দর্শকের মাঝ থেকে উঠে আসে। শিল্পীরা নাচের ভঙিমায় সৈয়দ হাসান ইমামকে তুলে নেয় মঞ্চে। সহধর্মিণী লায়লা হাসান তাঁর গলায় পরিয়ে দিলেন ফুলের মালা, নৃত্যের তালে তালে। তখন দর্শকের করতালি আনন্দমুখর এক আবহের সৃষ্টি করে।এরপর উপস্থাপকের দায়িত্ব নিয়ে মঞ্চে আসেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক আবেদ খান। মঞ্চ নাটক, টিভি, রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিখ্যাত ব্যক্তিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর পর্বও ছিল এ অনুষ্ঠানে।
একে একে মঞ্চে উঠে আসেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সৈয়দ হাসান ইমামের সহধর্মিণী লায়লা হাসান, ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর প্রমুখ। সৈয়দ হাসান ইমামের ওপর রচিত ‘নীল ছোঁয়া কিংবদন্তী’ শিরোনামে একটি সম্মাননা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মঞ্চে উপবিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে মোড়ক উন্মোচন করেন সৈয়দ হাসান ইমাম। এ ছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ব্যরিস্টার আমিরুল ইসলাম, চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, শিক্ষাবিদ ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক পাঠানো হয়।
নৃত্য-সঙ্গীত-আবৃত্তির মধ্য দিয়ে মুহূর্তটি হয়ে ওঠে বর্ণিল। চির তরুণ এক উচ্ছ্বল ব্যক্তির জন্য সবার শ্রদ্ধা আর ভালোবাসাই সেদিন আনন্দময় করে তোলে অনুষ্ঠানটিকে।