‘ক্রাইম রোড’ নিয়ে নায়ক-পরিচালক দ্বন্দ্ব

পরিচালক বনাম নায়কের দ্বন্দ্বে আটকে গেছে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্র ‘ক্রাইম রোড’। নায়ক শাহ রিয়াজের বিরুদ্ধে শুটিং ফাঁসানোর অভিযোগ এনেছেন ছবির পরিচালক সাইমন তারিক। এদিকে শাহ রিয়াজের কথা, পরিচালক নাকি কথার বরখেলাপ করেছেন তাঁর সাথে।
২৫ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল দিনাজপুরে টানা শুটিংয়ের শিডিউল দিয়েছিলেন শাহ রিয়াজ। সাইমনের অভিযোগ, শুটিং স্পটে চারদিন দেরিতে হাজির হয়েছেন শাহ রিয়াজ; আর এরপর শুটিং অসম্পূর্ণ রেখে ১ এপ্রিল কাউকে কিছু না বলে ইউনিট থেকে চলে যান তিনি। সাইমন তারিকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগে শাহ রিয়াজ বলেন, ‘ক্রাইম রোড ছবিতে সাইনের আগে পরিচালক যে গল্প বলেছিলেন, শুটিংয়ে সময় তা রাখেননি। শুটিং থেকে চলে আসা আমার এক ধরনের প্রতিবাদ।’
এ প্রসঙ্গে সাইমন তারিক বলেন, ‘এরই মধ্যে চলচ্চিত্রের ৭০ ভাগ শুটিং শেষ। অথচ আমার হিরো শাহ রিয়াজের পুরো কাজই বাকি রয়ে গেছে। কক্সবাজারে একটা গান করেছিলাম তাঁকে নিয়ে, সেখানেও সে ঝামেলা করেছিল।’ অন্যদিকে, ‘পাগলা দিওয়ানা ছবির নায়ক শাহ রিয়াজ বলেন, ‘মূল কথা হলো, আমি ছবির গল্প নিয়েই দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি। সাইমন ভাই আমাকে যতটুকু গল্প শুনিয়েছেন, তাতে বুঝেছি আমাকে মূল হিরো হিসেবেই উপস্থাপন করা হবে। কিন্তু কাজ শুরু করার পরে আমার মনে হয়েছে এই চলচ্চিত্র স্পেশালি আমার জন্য না। এই ছবির হিরো আমি আর আনিসুর রহমান মিলন ভাই দুজনেই। যেহেতু ছবিতে আমার কী ভূমিকা সেটা নিয়েই দ্বিধার মধ্যে আছি, এই সমস্যার সমাধানের জন্য বসতে রাজি আছি।’
দিনাজপুর থেকে শুটিং শেষ করে শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেছে ‘ক্রাইম রোড’ ইউনিট। বাকি শুটিং ঢাকাতেই করবেন বলে জানান সাইমন তারিক। সমাধান প্রসঙ্গে বলেন, ‘শাহ রিয়াজ আমার সঙ্গে যে আচরণ করেছে আমি আইনি প্রক্রিয়াতে সমাধান করতে চাই। তার সঙ্গে বসে সমাধানের কোনো পথ সে রাখেনি। আগামীকাল পহেলা বৈশাখ, পরিচালক সমিতি এখন নববর্ষের অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত। আগামী ১৫ এপ্রিল আমি পরিচালক সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করব।’
দিনাজপুরে আনিসুর রহমান মিলন ও বিপাশার সঙ্গে বেশ কিছু দৃশ্যে অংশগ্রহণের কথা ছিল শাহ রিয়াজের। শুধু তাঁর কারণেই প্রযোজক আর্থিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলেও জানান সাইমন। ‘ক্রাইম রোড’ ছবিতে আরো অভিনয় করছেন সাদিয়া আফরিন, শরীফ, জেমি প্রমুখ।