মা হওয়াটা অনেক গর্বের : বাঁধন

‘মা হওয়াটা অনেক গর্বের ও আনন্দের। মা হওয়ার জন্য এক ধরনের মানসিক প্রস্তুতির প্রযোজন হয়। যেটা আমার মধ্যে সবসময় ছিল। আমাদের দেশে যখন একটি মেয়ে মা হয় তখন সব দায়িত্ব তাঁকে নিতে হয়। আমার মনে হয় মায়ের আশপাশে যাঁরা থাকেন তাঁদেরও সহযোগিতা করা উচিত। আমার সন্তানকে আমি বাধা মনে করি না। কিন্তু অনেকে অনেক কারণে সন্তান নেন না অথবা সন্তানকে সময় দিতে পারেন না। তাই সবার মানসিকতা এমন হওয়া উচিত যে সবাই যেন আমরা সন্তানের খুব কাছাকাছি থাকতে পারি। শুধু মা নয়, পরিবারের সবার প্রয়োজন সন্তানের যত্ন নেয়া।’ মা দিবসে এভাবেই সন্তান প্রসঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
বাঁধন তাঁর মাকে আম্মু বলে ডাকেন। মা তার অনেক ভালো বন্ধু। মায়ের কাছ থেকে তিনি শিখেছেন কীভাবে সামাজিকভাবে সবার সঙ্গে মিশতে হয়, ভালো স্বভাব, সততা, নৈতিকতা সবকিছু। মা ছিলেন বাঁধনের প্রিয় শিক্ষক।
এ প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘আমার মায়ের কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ কারণ মায়ের কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। মা আমাকে স্বশিক্ষিত করে গড়ে তুলেছেন। আমার মধ্যে কোনো কিছুর কমতি রাখেননি। মা গৃহিণী ছিলেন। আমাদের পরিবারে কেউ মিডিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। মিডিয়ায় নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি অনেক সংগ্রাম করেছি। কিন্তু আমার পরিশ্রম সফল হতো না যদি আমার মা আমাকে সুশিক্ষিত করে গড়ে না তুলতেন। মায়ের জন্য আজ আমি আলোকিত হয়েছি।’
বাঁধন তাঁর মায়ের কাছ থেকে যে শিক্ষাটা পেয়েছেন তেমনি করে তাঁর সাড়ে তিন বছরের মেয়ে মিশেল আমানি সায়রাকেও বড় করছেন। বাঁধন তাঁর মেয়েকে কখনো নাম ধরে ডাকেন না। ‘মা’ বলে ডাকেন। তাই খুব দ্রুত মা ডাকটা শিখেছে সায়রা।
বাঁধন বলেন, ‘রাতে ঘুমানোর সময় সায়রাকে যখন আদর করি তখন সব ক্লান্তি ভুলে যাই। অদ্ভূত একটা শক্তি পাই। আমার কাছে মনে হয় জীবনটা অনেক সুন্দর ও পরিপূর্ণ। আমার আর কিছু চাওয়ার নেই।’
আজ সকালে বাঁধন তার মেয়েকে শিখিয়েছেন কীভাবে মা দিবসে মাকে শুভেচ্ছা জানাতে হয়। মিষ্টি সায়রাও মাকে ‘হ্যাপি মাদার্স ডে’ বলেছে। বাঁধন উত্তরায় এখন তারেক নিয়াজি পরিচালিত ঈদের নাটক ‘সারপ্রাইজ’-এর শুটিং করছেন।
বাঁধন বলেন, ‘বিশেষ দিনগুলোতে আমি সাধারণত শুটিং রাখি না। ঈদের নাটক তাই আজও শুটিং করতে হচ্ছে। তবে আমার কাছে মনে হয় মা দিবস প্রতিদিন। তাই দিনটাকে অন্যরকম মনে হচ্ছে না।’
সায়রা মায়ের হাতে রান্না করা পায়েস খুব পছন্দ করে। বাইরের খাবার সায়রার পছন্দ নয়। মা যা রান্না করেন সেটা খুব মজা করে খেয়ে নেয় সায়রা।
মা দিবস উপলক্ষে সায়রা দাদি এবং মায়ের সঙ্গে রাতে কেক কাটবে বলে জানান বাঁধন।
বাঁধন সব সময় নিজে ডিজাইন করে মেয়ের জন্য পোশাক বানান। যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠানে তাঁরা একই রঙের পোশাকও পরেন।
এ প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘আমার তো বোন ছিল না। বোন থাকলে হয়তো একই রকম পোশাক পরতাম। এখন মেয়ে ও মা পরছি। যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠানে গেলে আমার মেয়েকে আমি খুঁজে পাই না। সবাই ওকে এত আদর করে যে আমার কাছে থাকার সময় পায় না।’