আমেরিকার ১৫ শহরে ‘দাগি’

শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘দাগি’ অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তি পেয়েছে ১২ এপ্রিল। মুক্তির পর থেকেই সিডনির প্রতিটি শো হাউসফুল যাচ্ছে বলে খবর এসেছে। সিনেমাটির আবেগঘন মুহূর্তগুলো মন ছুঁয়ে গেছে প্রবাসী বাংলাদেশি দর্শকদের। সিনেমা শেষে চোখের পানি গড়িয়ে পড়েছে দর্শকের।
‘দাগি’র বিদেশ যাত্রায় এবার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়। আগামী ২৫ এপ্রিল সিনেমাটি একযোগে মুক্তি পাচ্ছে নিউ ইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকার মোট ১৫টি শহরে। বায়োস্কোপ ফিল্মস এর ব্যানারে এটি পরিবেশিত হতে যাচ্ছে, যা প্রতিষ্ঠানটির ৪৯তম পরিবেশনা।
নিউ ইয়র্কের কেউ গার্ডেন সিনেমাসে দাগির জন্য সাতদিনব্যাপী ২১ শোয়ের বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তির দিন থেকে যে শহরগুলোতে ‘দাগি’ দেখা যাবে সেগুলো হলো নিউ ইয়র্ক, বোস্টন , ডেট্রয়েট , সান ফ্রান্সিস্কো , আটল্যান্টা , ড্যালাস , কানেকটিকাট , ফিনিক্স , শিকাগো, পিনিয়াপলিস, লস অ্যাঞ্জেল,ওকলাহোমা সিটিসহ বেশ কয়েকটি সিটিতে।
এরপর ২ মে থেকে যুক্ত হচ্ছে আরও ১৩টি শহর, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়েস্ট পাম বিচ, পোর্টল্যান্ড, সিয়াটেল, অস্টিন, স্যাক্রামেন্টো, নিউ জার্সি, ভার্জিনিয়া, শার্লট, মিয়ামি, সান দিয়েগো এবং আরও কিছু শহরে।
সিনেমাটি আন্তর্জাতিক পরিবেশনা সংস্থা বায়োস্কোপ ফিল্মস ৪৯তম পরিবেশনা। সিনেমাটি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার রাজ হামিদ ও নওশাবা রশিদ জানান, দাগি আমাদের ৪৯তম পরিবেশনা। এই সাড়ে ছয় বছরের পথচলায় আমাদের যতটুকু অর্জন, তার কৃতিত্ব সম্পূর্ণভাবেই উত্তর আমেরিকার বাংলা সিনেমার দর্শকদের। তাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের ঋণে আমরা আবদ্ধ। দাগি নিয়ে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। বাংলাদেশের দর্শকদের মত এই ছবি এখনকার দর্শকদের মনে সত্যিই দাগ কাটবে বলে আমার বিশ্বাস।
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহীন। সিনেমাটি নিয়ে তিনি জানান, দাগি সম্পূর্ণ একটি বাংলাদেশের ছবি। দেশের বাইরেও শুটিংয়ের প্রস্তাব ছিল, কিন্তু আমি সম্পূর্ণ দেশের লোকেশনেই শুট করেছি। পুরো ছবিটিই বাংলাদেশের গন্ধে ভরপুর।। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের মত উত্তর আমেরিকার দর্শকদের কাছেও সিনেমাটি দারুণভাবে সাড়া ফেলবে।
‘দাগি’ প্রযোজনা করেছে এসভিফ-আলফা আইয়ের যৌথ মালিকানাধীন বাংলাদেশী কোম্পানি এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লি:। বিভিন্ন চরিত্রে এতে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, তর্মা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিমসহ অনেকেই।