বাসায় আটকে ৭ মাস ধরে নারীকে ধর্ষণ করছিলেন নোবেল : পুলিশ

গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের হওয়া মামলায় রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ডেমরা থানার ওসি মাহমুদুর রহমান জানান, এক নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে নোবেল নির্যাতন ও ধর্ষণ করছিলেন। ওই নারীর পরিবারের ৯৯৯-এ ফোনের পর তাকে উদ্ধার এবং নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, সোমবার (১৯ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের সঙ্গে পরিচয় হয় ইডেন কলেজের এক ছাত্রীর। এরপর তাদের মাঝে মাঝে যোগাযোগ হতো। গত বছরের ১২ নভেম্বর মোহাম্মদপুরে দেখা করার পর ওই ছাত্রীকে ‘স্টুডিও দেখানোর’ কথা বলে ডেমরার বাসায় নিয়ে যান নোবেল।
ওই বাসায় গিয়ে ছাত্রীকে আটকে রাখা হয়। ওসি মাহমুদুর রহমান জানান, ওই সময় ছাত্রীটির ফোন ভেঙে ফেলা হয়, তাকে মারধর ও ধর্ষণ করা হয়, এমনকি ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছিল। পুলিশের দাবি, এসব কর্মকাণ্ডে নোবেলের ২-৩ জন সহযোগীও জড়িত ছিল।
সাত মাস ধরে ছাত্রীটি ওই বাসায় বন্দি ছিলেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে তাকে একজন নারীকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নামাতে দেখা যায়। ওই ভিডিও দেখে ছাত্রীর পরিবার তাকে চিনে ফেলেন এবং টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন।
পুলিশ ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে। অভিযানের সময় নোবেল পালিয়ে যান, তবে প্রযুক্তির সহায়তায় রাত ২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, নোবেল সীমান্ত পেরিয়ে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছিলেন। এজন্য একটি মাইক্রোবাসও ভাড়া করেছিলেন। তবে পালানোর আগেই তাকে আটক করা হয়।
মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।