‘লিপস্টিক’ নীতি!
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/31/photo-1438348640.jpg)
মেকআপের গুরুত্বপূর্ণ অংশ লিপস্টিক। এটি মেকআপে পূর্ণতা আনে। এমনকি আপনি চাইলে কোনোরকম মেকআপ না করে শুধু লিপস্টিক দিয়েও যেকোনো অনুষ্ঠানে যেতে পারেন। দেখতে কিন্তু খুব একটা খারাপ লাগবে না। কারণ, লিপস্টিক আপনার চেহারার সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারে। তবে মনে রাখবেন, আপনার লিপস্টিক দেওয়ায় যদি গলদ থাকে, তাহলে কিন্তু সব মেকআপই গোল্লায় যেতে পারে! লিপস্টিক দেওয়ার ছোটখাটো কিছু নিয়ম সব সময় মেনে চলা ভালো। তাহলে খুব সহজেই নিজের লুক আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন। চাইলে বোল্ডস্কাইয়ের পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন :
লিপস্টিকের রং দীর্ঘস্থায়ী করতে
যদি আপনি লিপস্টিক ঠোঁটে বেশিক্ষণ স্থায়ী করতে চান, তাহলে লিপলাইনারে লিপস্টিক লাগিয়ে এর পর ঠোঁটে লাগান। এর পর চিকন ব্রাশ দিয়ে লিপস্টিক ঠোঁটে ব্লেন্ড করে দিন। চাইলে লিপলাইনার হালকা গরম করে নিতে পারেন। এতে লিপলাইনার নরম হবে এবং ঠোঁটে ভালোভাবে বসবে।
মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ
আপনি চাইলে ঠোঁটে দুই-তিন শেডের লিপস্টিক লাগাতে পারেন। বিভিন্ন রঙের শেডের লিপস্টিক ঠোঁটকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে। একই রঙের হতে হবে, বিষয়টি আসলে এমন নয়। আপনি চাইলে ভিন্ন দুই-তিন রঙের লিপস্টিক লাগাতে পারেন। এতে অন্য একটি রঙের রিফ্লেকশন আসবে। দেখতে ভালো লাগবে।
লিপলাইনার দেবেন কীভাবে
আপনার ঠোঁট দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে, যদি লিপলাইনার দিয়ে সঠিক উপায়ে ঠোঁট আঁকতে পারেন। প্রথমে ঠোঁটে লাইনার দিয়ে ডট দিয়ে নিন। এর পর সেই ডট অনুযায়ী ঠোঁট এঁকে নিন। এতে ঠোঁটের মাপ ঠিক থাকবে।
ঠোঁটের আকার বড় করতে
প্রথমে ঠোঁটের রং অনুযায়ী লিপলাইনার বাছাই করুন, লিপস্টিকের রং অনুযায়ী নয়। এর পর ঠোঁট একটু বড় করে এঁকে লিপস্টিক লাগান। এবার ঠোঁটে লিপগ্লস লাগান। এ ছাড়া নিচের দিকের ঠোঁটের মাঝখানে হালকা সিমার দিলেও ঠোঁট বড় লাগে।
ব্রাশ ব্যবহার করা
সব সময় মনে রাখবেন, লিপস্টিক ব্যবহারের সময় চিকন ব্রাশ ব্যবহার করবেন। এতে লিপস্টিক ভালো বসবে এবং দেখতে সুন্দর লাগবে। এ ছাড়া ব্রাশ ব্যবহারের ফলে লিপস্টিক দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয়।