অফিসের ওয়াশরুমে কী করবেন, কী করবেন না

অফিসের ওয়াশরুম সঠিকভাবে ব্যবহার করাটাও এক ধরনের ভদ্রতা। এখানে আপনাকে সব সময়ই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। অফিসের ওয়াশরুমে কী করবেন আর কী করবেন না, সে সম্বন্ধে কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ম্যানেজমেন্ট স্টাডি গাইড ওয়েবসাইটে। এক নজরে দেখে নিন।
১. অনেকেই অফিসের ওয়াশরুমে ফ্লাশ করতে ভুলে যান। এই কাজটা করা ঠিক না। যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, ওয়াশরুম নোংরা অবস্থায় রেখে যাবেন না।
২. ওয়াশরুমে ঢোকার পর অবশ্যই দরজা ভালো করে লাগাবেন। না হলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে পারেন। ভুলে যাবেন না, এটা বাসা না। আর বাসায়ও ওয়াশরুমের দরজার বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত।
৩. কেউ যদি আগে থেকেই ওয়াশরুমে থেকে থাকে তাহলে বারবার দরজা টোকা দিবেন না। এটা খুবই অস্বস্তিকর এবং লজ্জাজনকও বটে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এই ভদ্রতাজ্ঞান সবার মধ্যেই থাকা জরুরি।
৪. অনেক সময়ই নারী কর্মীরা তাদের হ্যান্ডব্যাগ নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি সময় ব্যয় করে। এতে অন্য সহকর্মীরা বিরক্ত হতে পারে। যতটা সম্ভব ওয়াশরুম থেকে দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
৫. কমোডের বসার জায়গা পানি দিয়ে ভেজাবেন না। আর যদি ভিজে যায় তাহলে নিজ দায়িত্বে মুছে ফেলুন। কারণ আপনার পর যিনি ওয়াশরুমে যাবেন তাঁর জন্য এটা খুবই অস্বস্তিকর। আর ওয়াশরুমের মেঝেতে যেন পানি না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন। না হলে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
৬. ওয়াশরুম নোংরা থাকলে কিংবা ফ্লাশ কাজ না করলে কর্মীদের ডেকে ঠিক করতে বলুন। অন্য সময়ে আপনিও ওয়াশরুমে গেলে এমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে পারেন।
৭. কমোডে টিস্যু ফেলার অভ্যাস অনেকেরই আছে। এই অভ্যাস ত্যাগ করুন। কারণ অনেক সময়ই কমোডে টিস্যু ফেলার জন্য পাইপ জ্যাম হয়ে যেতে পারে। তাই এই বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
৮. অফিসের ওয়াশরুমের কল ছেড়ে রাখবেন না। ওয়াশরুম থেকে বের হওয়ার সময় ভালো করে এই বিষয়টি খেয়াল করুন। পানির অপচয় না করাই ভালো, সেটা বাসা হোক কিংবা অফিস।
৯. অফিসের ওয়াশরুমে কখনোই ধূমপান করবেন না। এটা অন্য সহকর্মীদের জন্য বিব্রতকর। এমনকি যারা ধূমপান করেন না তাদের জন্যও বিষয়টি ক্ষতিকর।
১০. অফিসের ওয়াশরুমে সহকর্মীর সঙ্গে মজা করতে গিয়ে বাইরে থেকে লাইট বন্ধ করে দেবেন না। অফিসে এই ধরনের আচরণ একমদই মানায় না।