উভয়েই চাকরিজীবী? কাজের চাপ সামলে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়বেন যেভাবে

বর্তমান নগরজীবনের বাস্তবতায় বেশিরভাগ পরিবারেই বাবা-মা দু’জনেই কর্মজীবী। দিনের অধিকাংশ সময় দু’জনেই বাড়ির বাইরে থাকেন। ফলে বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের সময় কাটানোর মুহূর্ত খুব কম তৈরি হয়। বাবা-মাকে কাছে না পাওয়ার কারণেই প্রভাব পড়ে শিশুর মনোজগতে। বাবা-মায়ের শারীরিক উপস্থিতি ও মানসিক সঙ্গ না পাওয়ায় শিশুরা অনেক সময়ই হয়ে ওঠে অভিমানী, জেদি, এমনকি একাকী।
এই বিষয়ে মনোবিজ্ঞানীরা বারবার সতর্ক করে দিয়েছেন। তাদের মতে, শিশুর মানসিক বিকাশে বাবা-মায়ের সময় দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাবা-মায়ের সান্নিধ্যে না পেতে পেতে শিশু জেদি হয়ে যায়, যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কেও প্রভাব ফেলে। অভিমান জমতে জমতে এক সময় তা দূর করা হয়ে পড়ে কঠিন। তাই সময় থাকতেই সন্তানের সঙ্গে গড়ে তুলুন বন্ধুত্ব।
রুটিন মেনে চলা
পুরো এক সপ্তাহের একটা রুটিন তৈরি করুন। সন্তানের লেখাপড়া, স্কুল, খেলাধুলো, খাওয়া, ঘুমের নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করে দিন। সন্তান যদি সেই রুটিন মেনে চলে, তাহলে তাকে মাঝেমাঝে উপহার দিন, বেড়াতে নিয়ে যান। সন্তানেরও মনে হবে বাবা-মা শত ব্যস্ততার মাঝেও তাকে সময় দিচ্ছে।
ফোনে খোঁজ নেওয়া
অফিস থেকেই সন্তানের সঙ্গে দিনে অন্তত ২-৩ বার ফোনে কথা বলুন। অফিসে কাজের চাপ থাকে। তবু ব্যস্ততার মাঝেই সময় বের করে ফোনে খোঁজ নিন সন্তানের। তবে সামনে না থাকলে কোনো বকা বা নির্দেশ না দেওয়াই ভালো। বরং শিশু কী বলতে চাইছে, সেটা মন দিয়ে শুনুন।
অত্যাধিক শাসন নয়
বাসায় ফিরে জানতে পারলেন আপনার সন্তান হয়তো কোনো অন্যায় করেছে। সঙ্গে সঙ্গে মারমুখী হয়ে শাসন করতে যাবেন না। প্রথমে সন্তানের সঙ্গে কথা বলুন। জানতে চান, কেন সে এই কাজ করেছে। কাজটি যে ঠিক হয়নি। সেটাও বোঝাতে হবে।