বৃষ্টির পর খিচুড়ি না পোলাও, কোনটি পছন্দ আপনার?

বৃষ্টি হলেই মনটা খিচুড়ির বা পোলাও জন্য আঁকুপাঁকু করতে থাকে। মুখরোচক এই খাবার দুটির জন্য রয়েছে নানা ধরন। কেউবা ভালোবাসে পোলাও আবার কেউবা চাল আর মুগ ডালের ভুনা খিচুড়ি। কারো আবার পছন্দের তালিকায় আছে ঝোলসমেত পাতলা ল্যাটকা খিচুড়ি। অনেকে আবার সবজি বা মাংস মিশিয়েও খাবারটি তৈরি করেন। তবে যাই হোক বৃষ্টি হলেই মনটা খিচুড়ি জন্য আঁকুপাঁকু করতে থাকে আমাদের অনেকের।
মূলত খিচুড়ি ছিল বাউলদের খাবার। পথে ঘাঁটে গান করে ঘুরে বেড়াতেন বাউলরা। সে সময় বাড়ি বাড়ি ঘুরে গান শোনাতে গেলে লোকজন তাঁদের চাল-ডাল দিত। সেগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে বাউলেরা রান্না করে খেতেন। পরবর্তীতে যেটার নাম হলো খিচুড়ি। এতো গেল খিচুড়ির কথা।
পোলাও এক রাজকীয় আমেজ
আবার অনেকে বৃষ্টি হলেই পোলাও খেতে পছন্দ করেন। আমরা নানাভাবে পোলাও তৈরি করতে পারি। পোলাও সুগন্ধি চাল ও বিভিন্ন মশলা উপকরণের সংমিশ্রণে রান্না করা হয়। বিভিন্ন পদ্ধতিতে পোলাও রান্না করা হয়। যা একেকটি বিশেষ স্বাদ ও গন্ধ তৈরি করে। পোলাও সাধারণত উৎসব ও বিশেষ অনুষ্ঠানে রান্না করা হলেও বৃষ্টির দিনে অনেক সময় দৈনন্দিন খাবারের অংশ হিসেবেও পোলাও রান্না করা হয়। পোলাও অতিথি আপ্যায়ন বা বিশেষ কোনো দিনে বানানো হয়। বৃষ্টির পর বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়-স্বজন যদি একসাথে জড়ো হন, তাহলে পোলাও-র দিকেই হেলে পড়ে অনেকের মন।
খিচুড়ি হোক বা পোলাও, বৃষ্টির দিনে এসব খাবার স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। বৃষ্টির দিনে চারদিকে শুধু মেঘ আর ঠাণ্ডা বাতাস, তাহলে খিচুড়িই বোধহয় আমাদের মন ও পেট—দুটোই বেশি ভালোবাসে। আবার বৃষ্টির পর একটু আবহাওয়া
গরম হলে মন চায় পোলাও খেতে, কেননা পোলাও এক রাজকীয় আমেজ।