গাজা সীমান্ত দিয়ে সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দেবে ইসরায়েল
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/04/05/gaajaa-thaamb.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার উত্তর সীমান্ত দিয়ে সাময়িকভাবে সাহায্যপণ্য পাঠাতে অনুমতি দেবে দেশটি। খবর এএফপির।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল আশদদ ও ইরেজ চেকপয়েন্ট দিয়ে সাময়িকভাবে মানবিক সাহায্যপণ্য গাজায় প্রবেশ করতে দেবে। এতে গাজা থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে একটি বন্দর ও একটি সড়ক ক্রসিংয়ের কথা বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই সাহায্য গাজায় মানবিক সংকট দূর করতে সহায়তা করার পাশাপাশি যুদ্ধের লক্ষ্য পূরণ করতে সাহায্য করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক দাতব্য সাহায্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাত সদস্য ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার পর দেশটির ওপর সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড আন্তর্জাতিক চাপ। তারই ধারাবাহিকতায় ইসরায়েল সীমান্ত খুলে দেওয়ার এই সিদ্ধান্তের কথা জানাল।
গতকাল বৃহস্পতিবার জো বাইডেন ও নেতানিয়াহুর মধ্যে ৩০ মিনিটের উত্তপ্ত টেলিফোন সংলাপে বাইডেন ওই হামলাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানান।
হোয়াইট হাউসের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলের সুনির্দিষ্ট, বাস্তবসম্মত পদক্ষেপের মাধ্যমে বেসামরিক লোকজনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনাসহ মানবিক সহায়তা জোরদার করা এবং সাহায্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যুক্তরাষ্ট্রের নীতির আওতায় পড়ে।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2024/04/05/gaajaa-inaar.jpg)
এদিকে নতুন সীমান্ত পথ খুলে দেওয়ার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পরিপূর্ণভাবে ও ধারাবাহিকভাবে সেগুলো বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ চলছে। জাতিসংঘ ইসরায়েলকে মানবিক সহায়তা সামগ্রী প্রবেশে বাধা দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে সেখানে ক্ষুধার কারণে সৃষ্ট দুর্যোগের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে। তবে ইসরায়েল সাহায্যপণ্য সরবরাহে বাধা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এক হাজার ১৭০ জন ইসরায়েলিকে হত্যা করে এবং বেশ কিছু নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে। এর প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলের অবিরাম বিমান হামলা ও সামরিক অভিযানে গাজা উপত্যকায় এ পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নিরীহ শিশু ও নারী।