জীবন দেব তবুও ডিলিস্টিং হতে দেব না

বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন বলেছেন, বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করে পুঁজিবাজারের এমন কোম্পানি ডিলিস্টিং (তালিকাচ্যুত) আমরা চাই না। এটা হতে দেব না আমরা। আমরা জীবন দিয়ে দেব, তবু এই ডিলিস্টিং হতে দেব না। পুঁজিবাজারে পাঁচ লাখ টাকার নিচে বিনিয়োগ থাকলে মার্জিন ঋন পাবে না, এমন বৈষম্য থেকে বিএসইসিকে বেরিয়া আসতে হবে।
আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন।
সম্মেলনে ইকবাল হোসেন বলেন, বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে ডিলিস্টিং করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন ডিলিস্টিং আমরা চাই না। আমরা এটা হতে দেব না। যদি ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা না হয়, আমরা জীবন দিয়ে দেব, তবু এই ডিলিস্টিং হতে দেব না। অবশ্যই বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে ডিলিস্টিং করতে হবে।
পুঁজিবাজার রক্ষার দায়িত্ব যাদের, তাদের ভূমিকা আজ বিতর্কিত জানিয়ে ইকবাল হোসেন বলেন, ৫ আগস্ট পট পরিবর্তন পরবর্তীতে রাশেদ মাকসুদ বিএসইসির কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীর প্রত্যেক পোর্টফোলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উনি (বিএসইসি চেয়ারম্যান) দায়িত্ব নেওয়ার পর কী করেছেন? তিনি বলেন, লেনদেন শুরুর পর যদি সিকিউরিটির দাম কমে যায় লাল হয়ে যায়, আর দাম বেড়ে গেলে সবুজ। কিছুই যে জানে না, এটুকু তো সে বুঝে। আমার মনে হয় রাশেদ মাকসুদ সেটাও বোঝেন না। রাশেদ মাকসুদ বিএসইসির চেয়ারম্যান উনি সেটাও বোঝেন না। এমন একটা লোককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মার্জিন ঋনের সীমা প্রসঙ্গে ইকবাল হোসেন বলেন, মার্জিন রুল মনে হচ্ছে বিশাল একটা গবেষণাপত্র, দুর্বোধ্য, এগুলো পড়তে পড়তেই মানুষের জীবন শেষ। এই চব্বিশ পৃষ্ঠার গবেষণাপত্র এই দেশে মার্জিনের জন্য কোনো দরকার আছে? মার্জিন ঋন হবে সার্বজনীন, সবার জন্য। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য। উনি সিলিং করে দিয়েছেন পাঁচ লাখ টাকার নিচে যাদের বিনিয়োগ, তারা মার্জিন ঋন পাবেন না। ১০ লাখ টাকা বিনিনিয়োগ থাকলে মার্জিন ঋন পাবেন। তাহলে এক লাখ, দুই লাখ টাকা বিনিয়োগকারীরা কি মানুষ না? এরা কি বিনিয়োগকারী না? বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফসল যদি এই সরকার হয়, তাহলে এই মার্জিন ঋণে কেন, কিসের জন্য এই বৈষম্য। কিসের জন্য এই ধরনের বৈষম্য নীতি প্রণয়ন করতে যাচ্ছেন? কার হুকুমে, কার ইশারায়, কার ইঙ্গিতে, কার স্বার্থে, কোন দেশের অণুঘটক এই দেশে প্রবেশ করে আমাদের দেশের পুঁজিবাজারকে ধ্বংস করে, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে তাদের দিকে আমাদের ধাবিত করছে।