সিরিজ নিশ্চিত হওয়ায় বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন আসাটা অনুমিতই ছিল। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে সেটাই হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটিতে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে ঢুকেছেন তাইজুল ইসলাম। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে শরিফুল ইসলামকে। মোট এক পেসার ও তিন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজও একাদশে এক পরিবর্তন এনেছে। আজকের ম্যাচে দলে রাখা হয়নি কাইল মায়ার্সকে। তাঁর জায়গায় স্বাগতিকদের একাদশে এসেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান কিসি কার্টি।

টানা দুই জয়ে ২-০ ব্যবধানে এরই মধ্যে সিরিজ নিজেদের পকেটে পুরেছে বাংলাদেশ। এবার হোয়াইটওয়াশ করতে পারলেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির হতাশা ভুলে স্বস্তি নিয়ে দেশে ফিরতে পারবে তামিম ইকবালের দল।

ওয়েস্ট উইন্ডিজকে আজ হোয়াইটওয়াশ করলে এটি হবে বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে ১৫তম। আর জিততে পারলে মুখোমুখি দেখায় জয়ের সংখায় উইন্ডিজের সঙ্গে সমতা আনবে লাল-সবুজের দল।

এখন পর্যন্ত এই ফরম্যাটে ৪৩ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এর মধ্যে ২১ বার জিতেছে উইন্ডিজ আর বাংলাদেশ জিতেছে ২০ বার। ২টি ম্যাচের ফল হয়নি। আজ বাংলাদেশ জিতলেই দুই দলের পরিসংখ্যান হবে ২১।

এ ছাড়া ম্যাচটি স্রেফ নিয়মরক্ষার। সিরিজটি আইসিসির সুপার লিগের অংশও নয়। তা ছাড়া রেটিংও বাড়বে মাত্র ১। তাই কাগজে কলমে খুব একটা গুরুত্ব নেই। তবে চলমান সফরে যেভাবে হতাশায় ডুবেছে বাংলাদেশ সেক্ষেত্রে এই ম্যাচ জিতেই বাড়ি ফিরতে চাইবেন তামিম-মাহমুদউল্লাহরা।

বাংলাদেশ একাদশ

তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মুস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ

নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), শাই হোপ, রোভম্যান পাওয়েল, শামার ব্রুকস, ব্রেন্ডন কিং, কিসি কার্টি, রোমারিও শেফার্ড, কিমো পল, গুড়াকেশ মোটি, আলজারি জোসেফ, আকিল হোসেন।