‘এখন যৌবন যার বাসায় থাকার তার শ্রেষ্ঠ সময়’

কবি হেলাল হাফিজের বিখ্যাত কবিতার একটি চরণ ‘এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময়...।’ বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, কবি হেলাল হাফিজের সেই কবিতার মতো করে দেশবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
নিজের ফেসবুক পেজে ভক্ত সমর্থকদের উদ্দেশে মাশরাফি বলেন, ‘এখন যৌবন যার বাসায় থাকার তার শ্রেষ্ঠ সময়.....। নিরাপদ থাকুন, ঘরে থাকুন।’ সঙ্গে একটি ইলাস্ট্রেশন পোস্ট করে একই কথা লিখেছেন মাশরাফী।

এর আগেও মাশরাফী নিজের ফেসবুক পেজে একটি ছবিও আপলোড করেছিলেন। যে ছবিটি ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বেশ পরিচিত। ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে এক দর্শক মাঠে ঢুকে মাশরাফীকে জড়িয়ে ধরেন। সে ছবিটি দিয়েই মাশরাফী করোনাভাইরাস নিয়ে স্ট্যাটাস দেন।
সেখানে মাশরাফী লিখেছেন, ‘না, এভাবে কাছে আসা যাবে না। না, নিজের পরিচিত কিংবা দূরের কাউকে জড়িয়ে ধরা যাবে না।’
মাশরাফীর দেওয়া সতর্ক বার্তা :
যা করা যাবে : নতুন করোনভাইরাস রোগ সম্পর্কে কথা বলুন (কোভিড-১৯)।
যা করা যাবে না : রোগের সঙ্গে এর ভৌগোলিক অবস্থান বা জাতিসত্তা সংযুক্ত করা যাবে না। মনে রাখবেন, ভাইরাসটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী, জাতি বা বর্ণের মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে না।
যা করা যাবে : কোভিড-১৯ আছে এমন লোক সম্পর্কে, কোভিড ১৯-এর জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করছে এমন লোক সম্পর্কে, কোভিড-১৯ থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন—এমন লোক সম্পর্কে বা কোভিড-১৯ সংক্রমণের পর মারা যাওয়া লোক সম্পর্কে কথা বলা যাবে।
যা করা যাবে না : এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোভিড ১৯-এর ‘শিকার’ হিসেবে উল্লেখ করা যাবে না।
যা করা যাবে : কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিষয়ে কথা বলুন।
যা করা যাবে না : কোভিড-১৯ আক্রান্ত লোকেরা ‘অন্যকে সংক্রামিত করে’ বা ‘ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়, এসব বলা যাবে না। কারণ এটি ইচ্ছেকৃতভাবে সংক্রমণ ছড়ানো বোঝায় এবং দোষ চাপিয়ে দেয়।
যা করা যাবে : বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং সর্বশেষ অফিশিয়াল স্বাস্থ্য পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে কোভিড ১৯-এর ঝুঁকি সম্পর্কে সঠিকভাবে কথা বলুন।
যা করা যাবে না : অসমর্থিত গুজবের পুনরাবৃত্তি এবং আতঙ্ক ছড়ায় এমন ভাষা ব্যবহার করা যেমন ‘প্লেগ’, ‘অ্যাপোক্যালিপস’ ইত্যাদি।
যা করা যাবে : ইতিবাচকভাবে কথা বলুন এবং হাত ধোয়া সম্পর্কিত টিপস অনুসরণ করে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওপর জোর দিন। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এটি এমন একটি রোগ যা তারা কাটিয়ে উঠতে পারে। নিজেকে, প্রিয়জনদের এবং সবচেয়ে দুর্বলকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা সবাই নিতে পারি এমন সহজ পদক্ষেপ।