মোশাররফ রুবেলের কবর স্থায়ীকরণের আকুল আবেদন স্ত্রীর

প্রিয় মানুষকে হারিয়ে সব যেন শেষ হয়ে গেছে। তারপরও বেচে থাকার অবলম্বন হিসেবে নিজ সন্তানকে নিয়ে বাকি জীবন সাজাতে চান জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সদ্য প্রয়াত মোশাররফ হোসেন রুবেলের স্ত্রী ফারহানা রহমান চৈতি। বনানীর কবরস্থানে দাফন করা রুবেলের কবরকে স্থায়ীকরণের আকুল আবেদন জানিয়েছেন তিনি প্রধানমন্ত্রী বরাবর।
আজ শুক্রবার শেষ ঠিকানায় প্রিয় মানুষের কবর জিয়ারত করতে যান তাঁরা। ছোট্ট রুশদান মায়ের হাত ধরে পৃথিবীর কঠিন বাস্তবতাকে মেনে নিতে শিখছে একটু একটু করে। বাবার মৃত্যুর কষ্ট এখনো তাকে ভর করেনি। কিন্তু যিনি কঠিন সময়কে শক্ত হাতে সামলেছেন প্রিয় মানুষটির পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার কষ্টকে মেনে নিচ্ছেন তাঁর তো নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে প্রতি ক্ষণে।

বনানীর কবরস্থানে প্রয়াত মোশাররফ রুবেলের স্ত্রী ফারহানা রহমান চৈতি সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুধু জানি রুবেলকে খুঁজে পাই না। রুবেল কোথায়ও নেই। এখন কিচ্ছু নেই। আমরা ঘর ফাঁকা। আমার জীবনটা ফাঁকা।’
মোশাররফ রুবেলের স্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা আর কোনো চাওয়া নেই, প্রধানমনন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন আমার রুবেলের কবর যেন স্থায়ী করা হয়। শুধু এটুকুই চাওয়া।’
রুবেল আর ফিরে আসবে না। কিন্তু তার স্মৃতিচিহ্ন তো রক্ষা করা যেতেই পারে। বনানীর মতো কবরস্থানে সেই কাজটা করতে গেলে তো অনেক বাধা উতরাতে হয়। তাইতো এমন আকুল আবেদন।
রুশদান একদিন বড় হবে, পরপারে চলে যাওয়া বাবা কীর্তিকে বুঝতে শিখবে। মা চৈতির সব স্বপ্নই তো এখন ওকে ঘিরে। জাতীয় ক্রিকেটারের কবরের দায়িত্ব নেবার সময়টাতে শুধু এই পরিবারটির একার হবার নয়।
গত ১৯ এপ্রিল না ফেরার দেশে পাড়ি জমান জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোশাররফ রুবেল। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪০ বছর। প্রায় তিন বছর ধরে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। জটিল চিকিৎসাব্যবস্থায় শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে হেরে যান তিনি।