ব্যাটিংয়ে প্রস্তুতিটা ভালোই হয়েছে বাংলাদেশের

কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব মাঠে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা ৩৫৪ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়ে। অবশ্য এই বিশাল স্কোর তাড়া করে জিততে না পারলেও জবাবটা ভালোই দিয়েছেন মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহরা। জয়ের একেবারেই কাছাকাছি গিয়ে মাত্র দুই রানে হেরেছে সফরকারী দল।
শ্রীলঙ্কা বোর্ড সভাপতি একাদশের ৩৫৪ রানের জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস ৩৫২ রানে থেমে যায়। তবে এই ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা নিজের সামর্থ্যের প্রমাণটা ভালোভাবেই দিয়েছেন। এক ইমরুল কায়েস ছাড়া প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই ভালো খেলেছেন। তাই বলাই যায়, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতিটা ভালোই হয়েছে।
ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়েছেন ইমরুল কায়েস। বাংলাদেশ তখনো রানের খাতা খোলেনি। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান। এই জুটিতে মাত্র ১৬ ওভারে আসে ১১৬ রান। এরপরই আউট হন সৌম্য। ৪৩ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছয়ে ৪৭ রান করে বিদায় নেন বাংলাদেশের এই ওপেনার।
এরপর দলীয় ১২৪ রানে ফিরে যান সাব্বির। ৬৩ বলে ৭২ রান করেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। সাব্বির বিদায়ের খানিক বাদে বিদায় নেন মুশফিক। ২০ রান করেন টেস্ট দলের এই অধিনায়ক। এ সময় রান বাড়ানোর দায়িত্বটা তুলে নেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে দলীয় ২১৮ রানে হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হন সৈকত। ৫০ বলে ৫৩ রান করেন তিনি।
তবে অলরাউন্ডার শুভাগত হোম ও সানজামুল দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। অবশ্য হারের আগে হারার মানুষ তো নন অধিনায়ক মাশরাফি। উইকেটে এসেই পাল্টা আক্রমণ চালান টাইগার দলনেতা। ৩৫ বলে চারটি চার ও সমান সংখ্যক ছয়ে ৫৩ রান করে বাংলাদেশকে জয়ের কাছে নিয়ে আসেন মাশরাফি। ৪৯তম ওভারে ম্যাশ আউট হলে বাংলাদেশের জয় নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। শেষ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। তবে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৬৮ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ।