মেসির নৈপুণ্যে সুপার কাপ বার্সার

গত মৌসুমে ট্রেবল জিতলেও এবারের মৌসুমের শুরুতেই বেশ অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। প্রাক-মৌসুম ম্যাচগুলোতে টানা হার তো ছিলই, নেইমারের হঠাৎ অসুস্থতাও দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল কাতালানদের। তবে উয়েফা সুপার কাপ জিতে সমর্থকদের মুখে ঠিকই হাসি ফোটাল বার্সা। মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী বার্সা ও ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন সেভিয়ার শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের ফল ৫-৪।
জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসিতে নির্ধারিত সময় ৪-৪ গোলে অমীমাংসিত থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে গোল করে দলকে নাটকীয় জয় এনে দেওয়ার কৃতিত্ব পেদ্রোর। যদিও দুটো দুর্দান্ত ফ্রিকিক থেকে দুই গোল করে বার্সার জয়ে যথারীতি সবচেয়ে বড় অবদান লিওনেল মেসির। জয়সূচক গোলও এসেছে আর্জেন্টাইন তারকার পাস থেকে।
শেষ পর্যন্ত নাটকীয় জয় পেলেও শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে মাম্পস আক্রান্ত নেইমারকে ছাড়া খেলতে নামা বার্সা। চতুর্থ মিনিটে এভার বানেগার করা ম্যাচের প্রথম গোলটিরও জন্ম চমৎকার ফ্রিকিক থেকে। তবে সমতা ফেরাতে বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের। তিন মিনিট পরই মেসির দারুণ এক ফ্রিকিক চলে যায় সেভিয়ার জালে। ১৬ মিনিটে চারবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের ফ্রিকিকটা ছিল আরো দর্শনীয় (২-১)। এই গোলের সুবাদে সব ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা মিলে সর্বকালের সেরা গোলদাতায় তালিকার শীর্ষস্থান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন মেসি। দুই মহাতারকার গোল এখন ৮০টি।
বিরতির ঠিক আগে রাফিনিয়া আর ৫২ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের লক্ষ্যভেদে ৪-১ গোলে এগিয়ে সহজ জয়ের স্বপ্নই দেখছিল বার্সেলোনা। কিন্তু এরপরই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় সেভিয়া। ৫৭ মিনিটে হোসে আন্তনিও রেইয়েসের গোলে ব্যবধান কমিয়ে উজ্জীবিত ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়নরা কেভিন রামেরোর পেনাল্টি আর ইয়োভেন কোনোপ্লিয়াংকার লক্ষ্যভেদে সমতা ফিরিয়ে আনে।
তাই খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। নির্ধারিত সময়ে পেদ্রোকে মাঠেই নামাননি বার্সার কোচ লুইস এনরিকে। তবে ৯৩ মিনিটে হাভিয়ের মাসচেরানোর জায়গায় খেলতে নেমে পেদ্রোই বাজিমাত করেন। ১১৫ মিনিটে মেসির আরেকটি দারুণ ফ্রিকিক থেকে বল পেয়ে জোরালো শটে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। বাকি সময়ে সমতা ফেরানোর দুটো সুবর্ণ সুযোগ পেলেও সেভিয়া সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। তাই বছরের চতুর্থ শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে বার্সেলোনা।