জেদ থেকে সাগরিকার চার গোল!

সাফে সাগরিকার শুরুটা হয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক দিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের সঙ্গে এক গোল পান। কিন্তু, লাল কার্ড দেখে ছাড়তে হয় মাঠ। মাথা গরম করার শাস্তি হিসেবে নিষেধাজ্ঞা পান তিন ম্যাচের। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অলিখিত ফাইনালে মাঠে নেমেই নিজেকে ছাড়িয়ে যান সাগরিকা। করেছেন চার গোল।
সাগরিকার অনবদ্য পারফরম্যান্সের সামনে দাঁড়াতে পারেনি নেপাল। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ৪-০ গোলে পাওয়া বাংলাদেশের জয়ে প্রতিটি গোল এসেছে এই ফরোয়ার্ডের পা থেকে। যাদের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখেছিলেন, তাদের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রাখলেন। মনের ভেতর কী কাজ করছিল সাগরিকার?
সোমবার (২১ জুলাই) ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাগরিকা জানালেন, জেদ থেকে এসেছে এমন বিধ্বংসী ছন্দ। দল হয়েছে চ্যাম্পিয়ন, তা ভালো লাগা বাড়িয়েছে।
সাগরিকা বলেন, 'আসলে অনেক ভালো লাগছে, আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। মাঝে তিন ম্যাচ খেলতে পারিনি। কষ্ট লাগছিল। মাঠে নামার জন্য জেদ কাজ করেছিল। মনে মনে জেদ ছিল নেপালের সঙ্গে নেমেই আমি ভালো কিছু করব। করতে পেরেছি। সেরা ফুটবলারও হয়েছি। সেরা হতে পেরে দারুণ লাগছে।'
টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচ খেলে আট গোল করেছেন সাগরিকা। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ, আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সাগরিকার আট গোল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দলকে জিতিয়েছে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা।