উসাইন বোল্টের ‘মহাপতন’

সদ্যই জিতেছেন বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের ২০০ মিটারের শিরোপা। উসাইন বোল্ট তাই উৎসবের আমেজে ছিলেন। হয়তো নিচ্ছিলেন চিরচেনা ভঙ্গিতে উদযাপনের প্রস্তুতি। হঠাৎই পেছন থেকে হুড়মুড়িয়ে তাঁর গায়ের ওপর এসে পড়লেন এক ক্যামেরাম্যান। বোল্ট উল্টে পড়ে গেলেন, ব্যথাও পেলেন কিছুটা। পায়ে আঘাত পাওয়া তো জ্যামাইকান গতি-তারকার কাছে মৃত্যুর মতোই! তাই কোনো রাখঢাক না করে বলে ফেললেন, ‘সে আমাকে মেরে ফেলতে বসেছিল।’
বৃহস্পতিবার ২০০ মিটারের লড়াই শেষে এমন কাণ্ডই ঘটেছে বেইজিংয়ের বার্ডস নেস্ট স্টেডিয়ামে। এই মাঠেই সাত বছর আগে, ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিক থেকে সাফল্যের পথে অগ্রযাত্রা বোল্টের। এরপর একের পর এক কীর্তি গড়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনতিক্রম্য উচ্চতায়। এবারের বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের ভেন্যু, ক্রীড়াঙ্গনের অনুপম স্থাপত্যকর্ম বার্ডস নেস্ট স্টেডিয়ামে ১০০ মিটারের পর ২০০ মিটারের শিরোপা জিততেও সমস্যা হয়নি। বোল্টকে পেছনে ফেলা বা ‘ভূপাতিত’ করার ক্ষমতা যে এ মুহূর্তে কারো নেই, তা প্রমাণিত হয়েছে আরো একবার। অথচ তিনিই কিনা ‘পপাত ধরণীতল’ হলেন এক ক্যামেরাম্যানের ধাক্কায়!
বোল্টের ২০০ মিটার সোনা জয়ের উল্লাস ক্যামেরাবন্দি করতে তাঁকে অনুসরণ করছিলেন সেই ক্যামেরাম্যান। হঠাৎ ক্যামেরা রাখার চলমান যন্ত্রটি উল্টে যায়। ক্যামেরাম্যানও তাল সামলাতে না পেরে ধাক্কা দেন বোল্টকে। দুজনই হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান মাটিতে। ঠান্ডা মাথার, আমুদে স্বভাবের হলেও এমন ‘মহাপতনে’ ভীষণ ক্ষুব্ধ বোল্ট। ঘটনার পর তিনি বলেন, ‘সে আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আমি জানি না কী হচ্ছিল।’
পরে অবশ্য স্বভাবসুলভ ভঙিতে রসিকতা করতেও ছাড়েননি বিশ্বের দ্রুততম মানব, ‘আমাকে মারার জন্য জাস্টিন গ্যাটলিনই যে সেই লোককে টাকা দিয়েছিল, এমন গুজব ছড়িয়ে দেব আমি।’ ট্র্যাকে বোল্টের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাটলিনও কম যান না রসিকতায়। তাঁর পাল্টা জবাব, ‘আমি এখন আমার টাকা ফেরত চাই।’
১০০ ও ২০০ মিটারে সোনা জয়ের পর বোল্ট এখন তাকিয়ে আছেন ৪X১০০ মিটার রিলের দিকে। শনিবার হতে যাওয়া এই ইভেন্টে জ্যামাইকাকে সাফল্য এনে দিতে পারলে বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে ‘ট্রিপল’ জয়ের আনন্দে মেতে উঠবেন তিনি।