বিশ্বকাপের মেসি, মেসির বিশ্বকাপ!

বিশ্বকাপ মানেই ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের সেরা লড়াই দেখার একই মঞ্চ এই বিশ্বকাপ। পেলে কিংবা দিয়েগো ম্যারাডোনা যুগের পর যদি এ সময়ে ‘গ্রেট’ কোনো ফুটবলারের কথা ধরা হয়, তবে প্রথমেই আসবে আর্জেন্টিনার তারকা লিওনেল মেসির কথা। যদিও এই তারকার নামের পাশে নেই বিশ্বকাপের মতো বড় আসরের ট্রফি। কিন্তু নিজের ফুটবল দক্ষতায় তিনি হয়ে উঠেছেন সেরাদের সেরা।
এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে শুধু মেসি নৈপুণ্যে মূল আসরে জায়গা পেয়েছে আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্বেও লাতিন আমেরিকার দেশটিকে কঠিন সমীকরণের মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জিতে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে দলটি। নকআউট পর্বেই অবশ্য থেমে যেতে হয় তাদের। ফ্রান্সের বিপক্ষে ৪-৩ গোলের পরাজয়ের পর শেষ হয় বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার মিশন। সেইসঙ্গে মেসিরও। ২০০৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বকাপ আসরে মেসি খেলেছেন চারটি আসর। আসুন এক নজরে দেখা যাক, বিশ্বকাপে মেসির পারফরম্যান্স কেমন ছিল।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে জার্মানি বিশ্বকাপ আসরে অভিষেক হয় আর্জেন্টাইন সেরা তারকা মেসির। তিন ম্যাচে অংশ নিয়ে আর্জেন্টাইন তারকা গোলের দেখা পেয়েছেন একটি, সঙ্গে একটি অ্যাসিস্টও ছিল। দল বিদায় নেয় কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই।
২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে অংশ নিয়ে মাত্র একটি গোলের দেখা পেয়েছেন মেসি। পূর্বের আসরের মতো দল বিদায় নেয় কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে।
২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে মেসি কাটিয়েছেন দারুণ একটি আসর। সাত ম্যাচে চার গোল ও এক অ্যাসিস্টের মাধ্যমে দলকে পাইয়ে দিয়েছিলেন ফাইনালের টিকেট। যদিও ফাইনাল ম্যাচে শেষ মুহূর্তে জার্মানির কাছে হেরে শিরোপা জয়ের স্বাদ অপূর্ণ থেকে যায় মেসির কাছে। তবে টুর্নামেন্ট-সেরা হয়েছেন মেসিই।
২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার পথচলা থেমে গেছে নকআউট পর্বে ফ্রান্সের কাছে হেরে। এই টুর্নামেন্টে মেসি পেয়েছেন মাত্র এক গোলের দেখা, সঙ্গে অ্যাসিস্ট ছিল দুটি।