হিঙ্গিসকে নিয়ে সানিয়ার আরেকটি সাফল্য

অনেক সম্ভাবনাময় হলেও একক খেলোয়াড় হিসেবে তেমন সাফল্য পাননি সানিয়া মির্জা। তবে দ্বৈতে ইদানীং তিনি দারুণ সফল। মার্টিনা হিঙ্গিসের সঙ্গে জুটি বেধে উইম্বলডনের মহিলা দ্বৈতের শিরোপা জিতেছিলেন ভারতের টেনিস-সুন্দরী। ইউএস ওপেনেও দুজনের হাতে শিরোপা শোভা পাচ্ছে। রোববার রাতে মহিলা দ্বৈতের ফাইনালে কেসি ডেলাকুয়া ও ইয়ারোস্লাভা শেদোভা পাত্তাই পাননি। মাত্র ৭০ মিনিটে ম্যাচটা ৬-৩, ৬-৩ গেমে জিতে সানিয়া-হিঙ্গিস মেতে উঠেছেন গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের উল্লাসে।
উইম্বলডন আর ইউএস ওপেন ছাড়াও এ বছর ইন্ডিয়ান ওয়েলস, মায়ামি আর চার্লসটনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা জিতেছেন সানিয়া-হিঙ্গিস। মহিলা দ্বৈতে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান এখন এই দুজনের অধিকারে। ২০১৫ সালকে নিয়ে তাই একটু বেশিই উচ্ছ্বসিত সানিয়া, ‘আমাদের জন্য বছরটা দারুণ কাটছে। শুধু উইম্বলডন জিতলেই বছরটাকে দুর্দান্ত বলা যেত। অথচ আমরা ইউএস ওপেনও জিতে নিলাম। আমরা দুজনে একটা নিখুঁত দলে পরিণত হয়েছি। আজ আবার কথাটা প্রমাণিত হলো।’
নিউইয়র্কে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে সানিস-হিঙ্গিসের আধিপত্য বোঝাতে একটা তথ্যই যথেষ্ট। পুরো টুর্নামেন্টে একটা সেটও হারেননি দুজনে।
গ্র্যান্ড স্লামে সানিয়ার এটা দ্বিতীয় হলেও হিঙ্গিসের ১৫তম দ্বৈত শিরোপা। পাশাপাশি পাঁচটি একক শিরোপা তো আছেই। মাত্র ১৬ বছর বয়সে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে হৈচৈ ফেলে দেওয়া হিঙ্গিসের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছিলেন টেনিসবোদ্ধারা। কিন্তু ২২ বছর বয়সে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্ময়ের জন্মও দিয়েছিলেন। চার বছর পর কোর্টে ফিরলেও এককে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। তবে দ্বৈতে ঠিকই সাফল্য পাচ্ছেন হিঙ্গিস। আরেক ভারতীয় লিয়েন্ডার পেজকে সঙ্গে নিয়ে এ বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন আর উইম্বলডনের পর ইউএস ওপেনের মিশ্র দ্বৈতের শিরোপাও জিতেছেন তিনি। সানিয়ার সঙ্গে জুটি বেধে আরেকটি সাফল্য পেয়ে হিঙ্গিস উচ্ছ্বসিত, ‘ম্যাচের শুরু থেকেই আমরা ভালো খেলেছি। আমাদের খেলার মধ্যে দারুণ ঐক্যও গড়ে উঠেছে।’