শুরুতেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার হার

ইনজুরি ও নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি খেলতে পারেননি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের দুই প্রধান তারকা লিওনেল মেসি ও নেইমার। তাঁদের অনুপস্থিতিতে ফুটবলবিশ্বের দুই পরাশক্তিও মাঠ ছেড়েছে হার নিয়ে। ইকুয়েডর ও চিলির বিপক্ষে দুই দলই হেরেছে ২-০ গোলে ব্যবধানে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল আর্জেন্টিনা। ইকুয়েডর আছে ৩১তম অবস্থানে। অথচ নিজেদের মাঠে এই পিছিয়ে থাকা দলটির কাছেই অসহায় মনে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। হতাশাজনক এই হারের মধ্যে একটা বড় দুঃসংবাদও শুনতে হয়েছে দুবারের বিশ্বকাপজয়ীদের। ২৮ মিনিটের মাথায় ইনজুরির কবলে পড়ে মাঠ ছেড়েছেন দলের প্রধান স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরো। প্যারাগুয়েরে বিপক্ষে মঙ্গলবারের বাছাই পর্বের ম্যাচেও খেলতে পারবেন না ম্যানচেস্টার সিটির এই তারকা ফুটবলার।
গোলের দেখা পেতে অবশ্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে ইকুয়েডরকে। ৮১ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছেন ফ্রিকসন ইরাজো। পরের মিনিটেই আরেকটি গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ ও দলের জয় নিশ্চিত করেছেন ইকুয়েডরের ফরোয়ার্ড ফেলিপে কাইসেদো। শুধু ফলাফলের ব্যবধানেই নয়, পুরো ম্যাচেই যে আর্জেন্টিনা পরাস্ত হয়েছে সেটা ম্যাচ শেষে স্বীকারও করে নিয়েছেন মিডফিল্ডার হাভিয়ের মাচেরানো। বলেছেন, ‘ফলাফলের দিকে তাকিয়ে লাভ নেই। আমরা তাদের চেয়ে ভালো খেলতে পারিনি। ইকুয়েডর আমাদের দিকে যে সমস্যাগুলো ছুড়ে দিয়েছে, সেগুলো আমরা সমাধান করতে পারিনি। আমরা কখনোই স্বস্তিতে ছিলাম না।’
আর্জেন্টিনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের অবস্থাও ছিল একই রকম। দলের প্রধান তারকা নেইমারের অনুপস্থিতিতে বেশ নিষ্প্রভই হয়ে ছিল সেলেসাওরা। এ বছর কোপা আমেরিকা শিরোপা জয়ের অনুপ্রেরণা সওয়ার হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুটা দারুণভাবে করেছে চিলি। নিজেদের মাঠে ম্যাচের প্রথম গোলটির জন্য চিলিকেও অপেক্ষা করতে হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত। ৭২ মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছেন এদুয়ার্দো ভার্গাস। খেলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন চিলিয়ান তারকা আলেক্সিস সানচেজ।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের অপর ম্যাচগুলোতে জয় পেয়েছে উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে ও কলম্বিয়া।