টেনিসেও ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারি?

২০১০ সালে তিন পাকিস্তানি খেলোয়াড়ের ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারি প্রকাশ হওয়ার পর তোলপাড় উঠেছিল ক্রিকেটাঙ্গনে। ২০১৫ সালে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় হয়েছে ফুটবল ও অ্যাথলেটিকস অঙ্গনেও। এ বছরের শুরুতে আঙুল উঠেছে টেনিসের দিকেও। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৫০ খেলোয়াড়ের মধ্যে ১৬ জন বিভিন্ন সময়ে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে বিবিসি ও বাজফিড নিউজ। টেনিসের শীর্ষ কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ নাকচ করে দিলেও সন্দেহ-সংশয় সহসা নাও কাটতে পারে।
বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম, অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরুর মুখেই উঠেছে এই ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ। অভিযুক্ত ১৬ খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাঁদের অনেক সন্দেহজনক আচরণ চিহ্নিত করলেও সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি বলে অভিযোগ করেছে বিবিসি। এই খেলোয়াড়দের মধ্যে গ্র্যান্ড স্লামজয়ী তারকাও আছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের এই সংবাদমাধ্যম। তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এটিপির সভাপতি ক্রিস কেরমোড। তিনি বলেছেন, ‘টেনিস ইন্টেগ্রিটি ইউনিট ও টেনিস কর্তৃপক্ষ ম্যাচ পাতানোর প্রমাণাদি ধামাচাপা দিয়েছে বা তদন্ত করে দেখেনি—এমন অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। বিবিসি ও বাজফিডের প্রতিবেদনে ১০ বছর আগের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। আমরা যেকোনো নতুন তথ্যও যাচাই করে দেখব।’
বিবিসি ও বাজফিডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালে তদন্তের মাধ্যমে রাশিয়া, ইতালিতে অনেক অবৈধ বাজিকর চক্রের সন্ধান পেয়েছিল টেনিসের শীর্ষ সংস্থা এটিপি। বিপুল পরিমাণ অঙ্কের অর্থ বাজি ধরার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ম্যাচ পাতানো হয়েছিল বলেও অনুমান করেছিল তদন্তকারীরা। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচ ছিল উইম্বলডনের। ২৮ খেলোয়াড় ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল ২০০৮ সালে একটি গোপন প্রতিবেদনে। কিন্তু সে ব্যাপারে আর কোনো তদন্ত করা হয়নি।