বিশ্বকাপের ভ্রাম্যমাণ দল নিউজিল্যান্ড
ভারতে সময়টা ভালোই কাটছে নিউজিল্যান্ডের। গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ জিতে অপরাজিত থেকেই সেমিফাইনালে পা দিয়েছে কিউইরা। সে সঙ্গে ঘোরাঘুরিটাও ভালোই হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের। কারণ, প্রতিটি ম্যাচই তাদের খেলতে হচ্ছে নতুন নতুন ভেন্যুতে। নাগপুর, ধর্মশালা, মোহালি ও কলকাতায় গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচ খেলেছে নিউজিল্যান্ড। আর সেমিফাইনাল খেলার জন্য তাদের আসতে হয়েছে আরো একটি নতুন ভেন্যুতে। এবার দিল্লির ফিরোজশাহ কোটলা স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হতে হবে কিউইদের।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাঠ ও পিচের কন্ডিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিন্তু কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কোনো সময়ই পায়নি নিউজিল্যান্ড। প্রতিটি ম্যাচই তাদের খেলতে হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্টেডিয়ামে। এক ভেন্যুতে খেলা শেষ করেই রওনা দিতে হয়েছে আরেক ভেন্যুর উদ্দেশে। কিন্তু নতুন ভেন্যুর পরিস্থিতিটা তারা বুঝে নিতে পেরেছে খুব দ্রুত। এই জায়গাতেই অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে আছে কিউইরা। নিউজিল্যান্ডের মতো গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচ চার ভেন্যুতে খেলতে হয়েছে শুধু স্বাগতিক ভারতকে। কিন্তু নিজ দেশের কন্ডিশনের সঙ্গে তো আর নতুন করে মানিয়ে নেওয়ার কিছু নেই ভারতের ক্রিকেটারদের।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে খুব বেশি আলোচনায় ছিল না নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের ঠিক আগ দিয়ে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম অবসর নেওয়ায় কিউইদের পক্ষে বাজি ধরার লোক খুব কমই ছিল। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর পর সবাইকে চমকে দিয়েছেন কেইন উইলিয়ামসনরা। একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে পা রেখেছেন সেমিফাইনালে। মাঠে ব্যাট-বলের লড়াইয়ে দারুণ নৈপুণ্য দেখানোর পাশাপাশি কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার দিক দিয়েও নজর কেড়ে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা।
এখন সেমিফাইনালেও যদি নিউজিল্যান্ড এই দারুণ সাফল্য ধরে রাখতে পারে, তাহলে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার সুযোগ পাবে কিউইরা। এর আগে ২০০৭ সালের প্রথম আসরে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। এবারের আসরে তারা সেমিফাইনালে উঠেছে দ্বিতীয়বারের মতো।
ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হতে হবে নিউজিল্যান্ডকে। দিল্লির ফিরোজশাহ কোটলা স্টেডিয়ামকে রীতিমতো ঘরের মাঠই বানিয়ে নিয়েছে ইংল্যান্ড। গ্রুপ পর্বের শেষ দুটি ম্যাচই তারা খেলেছে দিল্লিতে।