মুস্তাফিজদের প্রতিপক্ষ কোহলি-গেইল-ডি ভিলিয়ার্স!

একসময় যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল দলকে বলা হতো ‘ড্রিম টিম’ বা স্বপ্নের দল। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরেও আছে স্বপ্নের ব্যাটিং লাইনআপ। ভাবা যায়, একই দলে খেলছেন বিরাট কোহলি, ক্রিস গেইল আর এবি ডি ভিলিয়ার্স! তিন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানকে দলে টেনে আরসিবি বা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এখন প্রতিপক্ষের সামনে আতঙ্কের প্রতিশব্দ। আর এই আরসিবিই আজ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রতিপক্ষ। মুস্তাফিজুর রহমান তাই শুরুতেই কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে।
এ বছরের শুরু থেকেই কোহলি দুর্দান্ত ছন্দে। জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বলতে গেলে একাই স্বাগতিকদের হারিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর অপরাজিত ৯০, অপরাজিত ৫৯ ও ৫০ রানের তিনটি চমৎকার ইনিংসের কাছে হার মেনেই হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে ঢাকায় এশিয়া কাপেও ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়েছিল কোহলির ব্যাট। অনেকের মতেই এই সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান পাঁচ ম্যাচে করেছিলেন ১৫৩ রান। যার মধ্যে ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে ফাইনালে ম্যাচজেতানো অপরাজিত ৪১ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তো আরো বিধ্বংসী ছিলেন কোহলি। ভারতকে শিরোপা এনে দিতে পারেননি, তবে পাঁচ ম্যাচে ২৭৩ রান করে তিনিই জিতে নিয়েছেন প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান গেইলের দিকেও নজর রাখতে হবে মুস্তাফিজদের। বিশ্বকাপে অবশ্য একটাই ভালো ইনিংস ছিল তাঁর। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে শতক করলেও পরের তিন ম্যাচে গেইলের ব্যাট থেকে এসেছিল ৪, ৫ ও ৪ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই আক্রমণাত্মক ওপেনারের সবচেয়ে বড় ‘শত্রু’ অধারাবাহিকতা। কবে যে জ্বলে উঠবেন, তা বোধহয় গেইল নিজেও জানেন না! তবে সেটা যদি হয় আজই, তাহলে হায়দরাবাদেরই বিপদ।ডি ভিলিয়ার্সও কম বিপজ্জনক নন। অসাধারণ উদ্ভাবনী ক্ষমতায় বলকে মাঠছাড়া করতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। বিশ্বকাপ অবশ্য তেমন ভালো কাটেনি দক্ষিণ আফ্রিকার এই তারকা ব্যাটসম্যানের। চার ম্যাচে বলার মতো একটাই ইনিংস ছিল, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬৪। তবে গেইলের মতো ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটের ঝড়ও শুরু হতে পারে যে কোনো দিন।
মুস্তাফিজ আর তাঁর দলকে তাই প্রথম ম্যাচেই কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হচ্ছে। বাংলাদেশের কাটার-মাস্টার অবশ্য ভারতে যাওয়ার আগে বলে গেছেন যে তাঁর মধ্যে ভয়টয় কিছু নেই। নির্ভার হয়ে মাঠে নামাই তাঁর লক্ষ্য। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও তাকিয়ে মুস্তাফিজের সফল আইপিএল অভিষেকের দিকে।