হঠাৎ বোল্টের পায়ে সমস্যা

জয় দিয়ে মৌসুম শুরু করে বেশ ফুরফুরে মেজাজে থাকার কথা ছিল উসাইন বোল্টের। তবে হঠাৎ করেই বিশ্বের দ্রুততম মানবের পায়ে চোট! হ্যামস্ট্রিং বা পায়ের পেশিতে টান পড়ায় চিকিৎসাও নিতে হচ্ছে জ্যামাইকার গতি-দানবকে।
গত শনিবার কেম্যান ইনভাইটেশনাল প্রতিযোগিতার ১০০ মিটার স্প্রিন্ট জিতে মৌসুমটা ভালোভাবেই শুরু করেছেন বোল্ট। আগামী শুক্রবার চেক প্রজাতন্ত্রের ওসত্রাভায় অনুষ্ঠেয় গোল্ডেন স্পাইক আইএএএফ ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতাতেও অংশ নেবেন তিনি। তবে সরাসরি চেক প্রজাতন্ত্র নয়, বোল্ট আগে গেছেন জার্মানিতে। উদ্দেশ্য চোট আক্রান্ত পায়ের চিকিৎসা।
জ্যামাইকার একটি রেডিও স্টেশনকে বোল্টের কোচ গ্লেন মিলস জানিয়েছেন, ‘সে হ্যামস্ট্রিংয়ে সামান্য অস্বস্তি বোধ করছে। তবে ঠিক হয়ে যাবে। সে এখন জার্মানিতে আছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সে দ্রুত সেরে উঠবে।’
১০০ ও ২০০ মিটারে বিশ্বরেকর্ডের মালিক বোল্ট কেম্যান ইনভাইটেশনালে সাফল্য পেলেও দৌড়ের শুরুতে বেশ পিছিয়ে ছিলেন। তবে শেষ দিকে প্রাণপণে দৌড়ে ফিনিশিং টেপ ছুঁয়েছেন সবার আগেই। সেদিনের দৌড় নিয়ে বোল্টের কোচের অভিমত, ‘আপনারা যদি সেদিনের লড়াইটা দেখে থাকেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে দৌড়ানোর সময় তার মুখ বিকৃত হয়ে যাচ্ছিল। আমার অবশ্য মনে হয় না সে কোনো চাপের মধ্যে ছিল। বরং মরিয়া হয়ে জিততে চাইছিল বলেই তার মুখ বিকৃত হয়ে যাচ্ছিল।’
২৯ বছর বয়সী বোল্টের সামনে এখন অসাধারণ কীর্তির হাতছানি। গত দুটো অলিম্পিকেই ১০০, ২০০ ও ৪X১০০ মিটার রিলের স্বর্ণ জিতেছিলেন তিনি। আগামী আগস্টে রিও অলিম্পিকে এই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে পারলে ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তাঁর নাম।