লন্ডনের সাফল্যে বোল্টের অভয়বার্তা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/07/23/photo-1469272595.jpg)
এ মাসের শুরুতে চোটের কারণে সরে দাঁড়িয়েছিলেন জ্যামাইকার অলিম্পিক ট্রায়াল থেকে। তখন থেকেই ভক্তদের উৎকণ্ঠা, রিও অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবেন তো উসাইন বোল্ট? সংশয়টা দূর করে দিয়েছেন বোল্ট নিজেই। লন্ডনে ডায়মন্ড লিগ অ্যাথলেটিকসে ২০০ মিটার দৌড়ে সবাইকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন বিশ্বের দ্রুততম মানব।
তবে বোল্টের চেয়েও বেশি কৃতিত্ব সম্ভবত কেন্ড্রা হ্যারিসনের। নারীদের ১০০ মিটার হার্ডলসের ২৮ বছরের পুরনো বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন তিনি।
লন্ডনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামের সঙ্গে বোল্টের অনেক সুখস্মৃতি জড়িয়ে। চার বছর আগে এখানে ১০০ ও ২০০ মিটারের পাশাপাশি ৪X১০০ মিটার রিলের স্বর্ণ জিতে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে একই স্টেডিয়ামে প্রায় ৪০ হাজার দর্শককে হতাশ করেননি ‘লাইটনিং বোল্ট’। ১৯.৮৯ সেকেন্ডে সবার আগে স্পর্শ করেছেন ফিনিশিং টেপ।
নিজের গড়া বিশ্ব রেকর্ডের (১৯.১৯ সেকেন্ড) ধারেকাছেও নেই এই টাইমিং। বোল্ট অবশ্য তা নিয়ে ভাবছেনই না। এ মৌসুমে প্রথমবারের মতো ২০০ মিটারে নামতে পেরেই তিনি খুশি, ‘আমি অন্তত এখানে এসে দৌড়াতে পেরেছি। কোনো চোটেও পড়িনি। অলিম্পিক শিরোপা ধরে রাখতে আমি প্রস্তুত। সবচেয়ে বড় কথা আমি এখন চোটমুক্ত। আমি সবসময় এখানে দৌড়াতে ভালোবাসি। এই স্টেডিয়ামে সবসময় দারুণ মজা লাগে।’ যদিও নিজের পারফরম্যান্সে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট নন অলিম্পিকে ছয়টি স্বর্ণজয়ী, ‘আমি এখনো পুরোপুরি ছন্দ ফিরে পাইনি। আমাকে আরো অনেক পরিশ্রম করতে হবে। তবে সব মিলিয়ে ভালোই বোধ করছি।’
বোল্ট সবার প্রত্যাশা পূরণ করলেও কেন্ড্রা হ্যারিসনের কীর্তি রীতিমতো অবিশ্বাস্য। কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিকে ট্রায়ালে তিনি সাফল্য পাননি। তাই রিও অলিম্পিকে যাওয়া হচ্ছে না। তবে সেই হতাশাকে পেছনে ফেলে লন্ডনে জ্বলে উঠেছেন হ্যারিসন। ১৯৮৮ সালে গড়া বুলগেরিয়ার ইয়োরদাঙ্কা দনকোভার বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ৫০ হাজার ডলার বোনাস জিতে নিয়েছেন তিনি।