আশা শেষ স্বীকার করছেন গার্দিওলাও

বার্সেলোনার মাঠে শুরু থেকে রক্ষণাত্মক বায়ার্ন মিউনিখ এগিয়ে যাচ্ছিল ‘কাঙ্ক্ষিত’ ড্রয়ের পথে। কিন্তু দুই গোল করে এবং নেইমারকে দিয়ে একটি গোল করিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বায়ার্নের বিদায় প্রায় নিশ্চিত শেষ করে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। বুধবার রাতে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে ভীষণ হতাশ পেপ গার্দিওলা। দলের ফাইনালে ওঠার আশা যে প্রায় শেষ, তা এক প্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন বায়ার্নের কোচ।
বার্সার সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে গার্দিওলার। কাতালানদের জার্সিতে ১৬টি শিরোপা জিতেছিলেন। কোচ গার্দিওলার কীর্তি অবশ্য ফুটবলার গার্দিওলাকে ম্লান করে দিয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত চার বছরে তাঁর অধীনে ১৪টি ট্রফি জিতেছিল বার্সেলোনা। এক মৌসুমে জিতেছিল ‘ট্রেবল’ও।
অথচ বার্সার মাঠ ন্যু ক্যাম্প থেকে এবার বড় হারের লজ্জা নিয়ে ফিরতে হয়েছে গার্দিওলাকে। আগামী ১২ মে সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সাকে স্বাগত জানাবে বায়ার্ন। ফাইনালে উঠতে হলে যে ম্যাচে চার গোলের ব্যবধানে জিততে হবে জার্মান পরাশক্তিদের। ‘কাজ’টা যে কতটা কঠিন হবে, গার্দিওলার কথাতেই তা পরিষ্কার, ‘১-০ তে পিছিয়ে পড়ার পর আমাদের আত্মবিশ্বাসে কিছুটা চিড় ধরেছিল। শেষ গোল খাওয়াটা ছিল লজ্জাজনক। কারণ ২-০ গোলে হারলেও আমাদের হয়তো ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু ৩-০-তে পিছিয়ে থাকায় ব্যাপারটা এখন ভীষণ কঠিন।’
তবে বড় ব্যবধানে হারের জন্য শিষ্যদের ঘাড়ে দোষ চাপাতে রাজি নন গার্দিওলা। বরং গত সপ্তাহে বায়ার্নকে জার্মান বুন্দেসলিগার ২৫তম শিরোপা এনে দেওয়া খেলোয়াড়দের প্রশংসাই করছেন তিনি, ‘আমি দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্বিত। কোনো কিছুর জন্যই আমি তাদের দোষারোপ করতে পারি না। সন্দেহ নেই এই ফল আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। বার্সা দারুণ ছন্দে আছে। আমরা খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এত ভালো খেলোয়াড়দের বিপক্ষে আপনি ভেঙে পড়তেই পারেন। তা ছাড়া আক্রমণভাগে আমাদের কিছুটা দুর্বলতাও ছিল।’
গার্দিওলার শেষ কথাটা অবশ্য সত্যি। চোটের কারণে বেশ কিছু দিন ধরেই বায়ার্নের আক্রমণভাগের দুই স্তম্ভ ফ্রাঙ্ক রিবেরি ও আরিয়ের রোবেন মাঠের বাইরে।