হেরেও ফাইনাল নিশ্চিত বার্সেলোনার

চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখকে ভুগিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ন্যু ক্যাম্পে তাঁর জোড়া গোলের সুবাদে ৩-০ গোলের জয় দিয়ে ফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। দ্বিতীয় লেগে বায়ার্নের মাঠে জ্বলে উঠেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। তিনিও করেছেন জোড়া গোল। ম্যাচটা অবশ্য বার্সা হেরে গেছে ৩-২ গোলে। কিন্তু তাতে কোনো ক্ষতি হয়নি কাতালানদের। দুই লেগ মিলে ৫-৩ ব্যবধানে জয় দিয়ে পেয়ে গেছে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের টিকিট।
নিজেদের মাঠে শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল বায়ার্ন। ৭ মিনিটে গোল করেছিলেন বায়ার্নের মরক্কান ডিফেন্ডার মেধি বেনাতিয়া। কিন্তু এর পর দারুণভাবে জ্বলে ওঠেন নেইমার। ১৫ ও ২৯ মিনিটে দুই গোল করে এগিয়ে দেন বার্সাকে। প্রথমার্ধ ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই শেষ করে বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নামে বায়ার্ন। সেই প্রচেষ্টায় সফলও হয় বাভারিয়ানরা। ৫৯ মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ত লেভানদভস্কি। আর ৭৪ মিনিটে বায়ার্নের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন টমাস মুলার।
এবারের মৌসুমে বার্সেলোনার সামনে এখন ট্রেবল জয়ের হাতছানি। কোপা দেল রের ফাইনালে এরই মধ্যে পা রেখেছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা। আগামী ৩০ মে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে তারা মুখোমুখি হবে অ্যাথলেতিক বিলবাওয়ের। লা লিগার শিরোপারও অনেক কাছাকাছি চলে গেছে বার্সা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান ৪। বাকি দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেই ২৩তম লা লিগা জয়ের আনন্দে ভেসে যাবে বার্সা।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ অথবা ইতালিয়ান সেরি আ চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস। অন্য সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ২-১ গোলের জয় পেয়েছিল জুভেন্টাস। দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বুধবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মরণপণ লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে এ দুই দল।